ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে আঞ্চলিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে : পিটিআইকে ড. ইউনূস

  • আপলোড সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০৮:৫৪:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০৮:৫৪:১০ পূর্বাহ্ন
সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে আঞ্চলিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে : পিটিআইকে ড. ইউনূস
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তবে এটি এখন কেবল কাগজে-কলমে আছে, কাজ করছে না। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘সার্কের চেতনার’ পুনরুজ্জীবন হওয়া উচিত। আট সদস্যের এই জোট আঞ্চলিক অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। ঢাকায় সরকারি বাসভবন যমুনায় পিটিআইকে এই সাক্ষাৎকার দেন ড. ইউনূস। সার্কের সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ইউনূস উল্লেখ করেছেন, তিনি চলতি মাসের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, অবশ্যই, আমরা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে) দেখা করার চেষ্টা করব। সার্কভুক্ত দেশগুলোর সব রাষ্ট্রপ্রধান একত্রিত হয়ে একটি ছবি তোলার চেষ্টা করব। সার্ক একটি মহৎ উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল; এটি এখন কেবল কাগজে-কলমে বিদ্যমান। আমরা সার্কের নাম ভুলে গেছি, আমি সার্কের চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ অধিবেশন ২৪-৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ড. ইউনূস বলেন, অনেক দিন সার্ক সম্মেলন হচ্ছে না। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। নেপাল বহু দিন ধরেই এই আঞ্চলিক জোটটিকে সক্রিয় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে এ প্রচেষ্টা শুরু হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। ২০১৬ সালের সার্ক শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনা ক্যা¤েপ সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত ‘বিরাজমান পরিস্থিতিতে’ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বাংলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তানও ইসলামাবাদ বৈঠকে অংশ নিতে অস্বীকার করলে শীর্ষ সম্মেলনটি স্থগিত করা হয়। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, সার্কের মতো একই রূপরেখায় গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার¯পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করেছে। অথচ সার্ক এখনো তেমন কিছু অর্জন করতে পারেনি। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে ইউরোপীয় দেশগুলো অনেক কিছু অর্জন করেছে। সার্ক যাতে কার্যকর হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে তাকান, দেখবেন এই জোট কতটা সফল ও দৃশ্যমানভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়েও সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি করার জন্য ভারতের কাছে সহায়তা চাইবেন তিনি। ড. ইউনূস আরও বলেন, (রোহিঙ্গা) সংকট মোকাবিলায় ঢাকার জন্য ভারত ও চীন উভয়ের সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ইস্যুটি সমাধানের জন্য আমাদের ভারত ও চীনের সহায়তা দরকার। প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে এসেছে এবং এখন এই জনসংখ্যা বাড়ছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রচ- চাপ সৃষ্টি করছে। কিছু দেশ তাদের নিচ্ছে কিন্তু খুব অল্পসংখ্যক। ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে সুস¤পর্ক বজায় রেখে চলে, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি করাতে আমাদের ভারতের সহায়তা দরকার। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নৃশংস সামরিক দমন-পীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার পাশাপাশি অনেক প্রভাবশালী দেশও এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে এখন রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয়শিবির।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স