১৪ মাস ধরে হাওরভাতা পাচ্ছেন না ৯০ শিক্ষক
- আপলোড সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০৮:৫১:১১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০৮:৫১:১১ পূর্বাহ্ন
চয়ন কান্তি দাস ও নির্মল চন্দ্র সরকার ::
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিকের সৃষ্ট পদে নিয়োগ পাওয়া ৯০জন সহকারী শিক্ষক গত ১৪মাস ধরে হাওরভাতা পাচ্ছেন না। হাওর ভাতা না পাওয়ায় এসব শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১১০টি ও মধ্যনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে এই দুটি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা দুই হাজার ৫০০টাকা করে ও সহকারী শিক্ষকেরা দুই হাজার ২০০টাকা করে প্রতিমাসে হাওরভাতা পেয়ে আসছেন। ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি এই দুটি উপজেলার ১৫৪জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদান করেন। ওই কার্যালয় থেকে ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি ১৫৪জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে ৬৪জন সহকারী শিক্ষককে রাজস্ব খাতে ও ৯০জন সহকারী শিক্ষককে প্রাক প্রাথমিকের সৃষ্ট পদে পদায়ন করা হয়। রাজস্ব খাতে থাকা সহকারী শিক্ষকেরা নিয়োগের পর থেকেই হাওরভাতা বাবদ প্রতিমাসে দুই হাজার ২০০টাকা করে পেয়ে আসছেন। কিন্তু এই দুটি উপজেলার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের সৃষ্ট পদের ৯০জন সহকারী শিক্ষক ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত দুই হাজার ২০০টাকা হাওরভাতা পেয়ে আসছিলেন। টানা এক বছর হাওর ভাতা বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের শুধু জুন মাসে বেতনের সঙ্গে এসব শিক্ষকেরা এক মাসের হাওর ভাতা পেয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, একই সময়ে আমরা ১৫৪জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও ৬৪জন হাওরভাতা পাচ্ছেন আর আমরা ৯০জন শিক্ষক হাওরভাতা পাচ্ছি না, আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে ৯০ থেকে ১২০টাকা করে খরচ হচ্ছে। এই টাকা বেতনের টাকা থেকে দিতে হচ্ছে। এতে আমরা খুবই সমস্যায় আছি। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস জানান, এই দুটি উপজেলায় প্রাক প্রাথমিকের সৃষ্ট পদের ৯০জন সহকারী শিক্ষক পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। এসব শিক্ষকদের হাওরভাতা বন্ধ থাকায় তারা খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। কিন্তু এখনো হাওরভাতা বাবদ অর্থ বরাদ্দ না আসায় এসব শিক্ষকদেরকে হাওরভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে থাকা পিইডিপি-৪প্রকল্পের উপ-পরিচালক আবুল বাশার বলেন, হাওরভাতার অর্থ বরাদ্দের জন্য ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বাবদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে বকেয়াসহ এই দুটি উপজেলার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের ৯০জন সহকারী শিক্ষককে হাওরভাতা প্রদান করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ