সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫ , ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না, এই দেশ সবার : সেনাপ্রধান বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্মাষ্টমী উদযাপিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেনের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবি সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের ‘সাহিত্য আড্ডা’ অনুষ্ঠিত ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৫ ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু-সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে : ধর্ম উপদেষ্টা ভোট গণনার আগ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে : গয়েশ্বর রায় বেহাল সড়কে স্কুলে যেতে ভোগান্তি শিক্ষার্থীদের

লোককবিদের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষায় উদ্যোগী হতে হবে

  • আপলোড সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ০৮:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ০৮:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন
লোককবিদের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষায় উদ্যোগী হতে হবে
‘লোকে বলে বলেরে, ঘরবাড়ি ভালা না আমার’ - অমর মরমি কবি দেওয়ান হাসন রাজার এই আত্মবিন্যস্ত গানের পঙক্তির মতোই আজ সত্যি হয়ে উঠেছে তাঁর শূন্যতাময় পৈতৃক জমিদার বাড়ির অবস্থা। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামে অবস্থিত এই প্রভাবশালী জমিদার পরিবারের ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন এখন ধ্বংসের মুখে। বাংলা সাহিত্যে এবং আধ্যাত্মিক চর্চায় হাসন রাজার অবদান অবিস্মরণীয়। শুধুই একজন জমিদার নয়, তিনি ছিলেন বাউল-ভক্ত, আধ্যাত্মিক সাধক, মরমী কবি এবং গণমানুষের ভাবজগতের ভাষ্যকার। অথচ তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ স্মৃতি, তাঁর বসতভিটা আজ পড়ে আছে অবহেলায়, অযতেœ - একটি লতাগুল্মে ঢাকা ধ্বংসপ্রায় ভবন, দরজা-জানালাবিহীন দুটি কক্ষ, একটি দীঘি ও পারিবারিক কবরস্থান - এসবই দাঁড়িয়ে আছে এক করুণ অপেক্ষায়। এ দুঃখ শুধু একটি বাড়ির নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার ক্ষয়িষ্ণু দৃষ্টান্ত। শুধু হাসন রাজাই নন, এই হাওর অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে আছেন বহু মরমী সাধক, বাউল, বৈষ্ণব কবি ও সুফি কবিদের পদচিহ্ন - যাদের গানে, সাধনায় গড়ে উঠেছিল লোকধর্ম, সহনশীলতা ও মানবিকতার ঐক্যসূত্র। কিন্তু হতাশার বিষয়, এই ইতিহাস সংরক্ষণে নেই সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ, নেই সংস্কৃতিমনা নেতৃত্বের আন্তরিকতা। বিশ্বনাথের ইউএনও সুনন্দা রায় জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হলেও উত্তরাধিকারীদের অভ্যন্তরীণ জটিলতা এবং অনাগ্রহের কারণে অগ্রগতি হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে - একটি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কি শুধুই ব্যক্তিগত মালিকানার দ্বারস্থ থাকবে? রাষ্ট্রের কি কোনো দায় নেই এই মহামূল্যবান স্মৃতিচিহ্নগুলো রক্ষা করার? আমরা দাবি জানাই, হাসন রাজার রামপাশার পৈতৃক বাড়ি দ্রুত সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি সংরক্ষণ করে একটি লোকসংগীত গবেষণা কেন্দ্র, মরমি সংগ্রহশালা বা আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সুনামগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মরমি কবিদের স্মৃতিচিহ্ন যেমন রাধারমণ দত্ত, দুর্বিন শাহ, শাহ আবদুল করিম, সৈয়দ শাহনূরদের ঘর-বসতিও একইভাবে সংরক্ষণযোগ্য। বাংলার লোকজ ইতিহাস কেবল বইয়ের পাতায় নয়, জড়িত রয়েছে জীবন্ত স্থাপনা, পদচিহ্ন ও ঐতিহ্যে। আজ যদি আমরা তা হারিয়ে ফেলি, কাল আর শুধুই ফাঁকা গান গাইতে হবে- ‘ঘরবাড়ি ভালা না আমার...”। এই দেশ, এই মাটি, এই গান - সবই আমাদের। দায়িত্বটাও আমাদেরই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল

প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল