সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন জামালগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থাকবে নৌ ও বিমান বাহিনী সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উদ্বোধন অকেজো ১০ হাজার নলকূপ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জামালগঞ্জে যুবদলের কর্মী সমাবেশে কৃষক লীগ নেতা! ‎সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন সভাপতি শামস শামীম, সম্পাদক জসিম মাছশূন্য হাওর, সংকটে জল-জীবিকা ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে হাজারো মানুষ ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
দোয়ারাবাজারে ছয় পরিবার আজও অন্ধকারে

বিদ্যুৎ খুঁটি উঠোনে, তবু ঘরে নেই আলো!

  • আপলোড সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:২১:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন
বিদ্যুৎ খুঁটি উঠোনে, তবু ঘরে নেই আলো!
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুনরায়ের গাঁও গ্রামের প্রতিটি ঘরে যখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে, তখন একই গ্রামের ছয়টি পরিবার আজও অন্ধকারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অবাক করার মতো হলেও সত্য- যাদের উঠোন দিয়েই পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তার গেছে, তাদের ঘরেই নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুতায়নের প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এই পরিবারগুলো এখনো সৌরবিদ্যুতের টিমটিম আলো, মোমবাতি কিংবা হ্যারিকেনের ওপর নির্ভর করেই রাত পার করছে। বর্ষার দিনে সৌরবিদ্যুতের আলো না থাকলে জীবন চলে কুপি বাতির কষ্টসাধ্য আলোয়। এই ছয়টি পরিবার টিনশেড ও আধাপাকা ঘরে বসবাস করেন। তারা বিদ্যুতায়নের কিছুদিন পর বসতভিটা গড়ে এখানে ঘর তোলেন। আশেপাশের অন্য ঘর থেকে তাদের ঘরগুলোর দূরত্ব মাত্র ৫০-৬০ মিটার হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি তারা। অথচ বিদ্যুৎ খুঁটি ও তার একই লাইনে থাকার পরও সংযোগ না মেলায় প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যুৎ বিতরণে ন্যায্যতা ও প্রশাসনিক তদারকি নিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা বজলুর রহমান বলেন, ৬-৭ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ঘুরছি। কিন্তু কেউ বিদ্যুৎ দেয়নি। যারা এসেছিল, তারা বলেছিল ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা দিলে সংযোগ মিলবে। এত টাকা আমাদের মতো মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। একই এলাকার হনুফা বেগম বলেন,আমাদের উঠোন দিয়েই বৈদ্যুতিক খুঁটি গেছে, তারও গেছে, কিন্তু আলোটা যায়নি ঘরে। সন্ধ্যার পরে শিশুদের নিয়ে কষ্ট করে থাকতে হয়। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম বলেন,পাশের ঘরে বিদ্যুৎ আছে, অথচ আমাদের ঘরগুলো অন্ধকারে থাকে। লেখাপড়ার সময় অনেক কষ্ট হয়। রাতে প্রচন্ড গরমে ঘুমাতে পারি না, সন্ধ্যার পর লেখাপড়া করতে পারি না। এই বিষয়ে দোয়ারাবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা আবেদন করলে আমরা খতিয়ে দেখব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ বলেন, বিষয়টি সত্যিই অদ্ভুত। আমি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন

দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন