সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ , ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা শুক্রবার, লক্ষ্য ১৫ হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটানো ১৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ জগন্নাথপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ মাইলস্টোনের বাতাসে পোড়াগন্ধ দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আমরা ভালো শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ভালো শিক্ষকও চাই : জেলা প্রশাসক জলমহাল লুট ঠেকাতে প্রশাসনের দ্বারে মৎস্যজীবীরা মাইলস্টোন স্কুলে বিমান ট্র্যাজেডি নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ তাহিরপুরে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ হাওরে দেশি মাছের আকাল, বিপন্ন বহু প্রজাতি বালুর স্তূপে কাঁদছিল নবজাতক, মায়ের মমতায় কোলে তুলেন হাসিনা দিরাই পৌর বিএনপির ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন সুদের চাপ সইতে না পেরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জমিয়তের প্রার্থী মুফতি লুৎফুর রহমান নুরুল্লা গ্রামে ৩ জনের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত : পাইলটসহ নিহত ২০, আহত ১৭১ বিমানটি ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিতে চেয়েছিলেন পাইলট শান্তিগঞ্জে গাছের চারা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ জগন্নাথপুর পৌরসভার বাজেট ঘোষণা জগন্নাথপুরে নকল প্যাকেটে নিম্নমানের মসলা ও কেমিক্যালযুক্ত খেজুর গুড় বিক্রি
দোয়ারাবাজারে ছয় পরিবার আজও অন্ধকারে

বিদ্যুৎ খুঁটি উঠোনে, তবু ঘরে নেই আলো!

  • আপলোড সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:২১:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন
বিদ্যুৎ খুঁটি উঠোনে, তবু ঘরে নেই আলো!
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুনরায়ের গাঁও গ্রামের প্রতিটি ঘরে যখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে, তখন একই গ্রামের ছয়টি পরিবার আজও অন্ধকারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অবাক করার মতো হলেও সত্য- যাদের উঠোন দিয়েই পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তার গেছে, তাদের ঘরেই নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুতায়নের প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এই পরিবারগুলো এখনো সৌরবিদ্যুতের টিমটিম আলো, মোমবাতি কিংবা হ্যারিকেনের ওপর নির্ভর করেই রাত পার করছে। বর্ষার দিনে সৌরবিদ্যুতের আলো না থাকলে জীবন চলে কুপি বাতির কষ্টসাধ্য আলোয়। এই ছয়টি পরিবার টিনশেড ও আধাপাকা ঘরে বসবাস করেন। তারা বিদ্যুতায়নের কিছুদিন পর বসতভিটা গড়ে এখানে ঘর তোলেন। আশেপাশের অন্য ঘর থেকে তাদের ঘরগুলোর দূরত্ব মাত্র ৫০-৬০ মিটার হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি তারা। অথচ বিদ্যুৎ খুঁটি ও তার একই লাইনে থাকার পরও সংযোগ না মেলায় প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যুৎ বিতরণে ন্যায্যতা ও প্রশাসনিক তদারকি নিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা বজলুর রহমান বলেন, ৬-৭ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ঘুরছি। কিন্তু কেউ বিদ্যুৎ দেয়নি। যারা এসেছিল, তারা বলেছিল ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা দিলে সংযোগ মিলবে। এত টাকা আমাদের মতো মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। একই এলাকার হনুফা বেগম বলেন,আমাদের উঠোন দিয়েই বৈদ্যুতিক খুঁটি গেছে, তারও গেছে, কিন্তু আলোটা যায়নি ঘরে। সন্ধ্যার পরে শিশুদের নিয়ে কষ্ট করে থাকতে হয়। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম বলেন,পাশের ঘরে বিদ্যুৎ আছে, অথচ আমাদের ঘরগুলো অন্ধকারে থাকে। লেখাপড়ার সময় অনেক কষ্ট হয়। রাতে প্রচন্ড গরমে ঘুমাতে পারি না, সন্ধ্যার পর লেখাপড়া করতে পারি না। এই বিষয়ে দোয়ারাবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা আবেদন করলে আমরা খতিয়ে দেখব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ বলেন, বিষয়টি সত্যিই অদ্ভুত। আমি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স