সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন জামালগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থাকবে নৌ ও বিমান বাহিনী সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উদ্বোধন অকেজো ১০ হাজার নলকূপ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জামালগঞ্জে যুবদলের কর্মী সমাবেশে কৃষক লীগ নেতা! ‎সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন সভাপতি শামস শামীম, সম্পাদক জসিম মাছশূন্য হাওর, সংকটে জল-জীবিকা ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে হাজারো মানুষ ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জগন্নাথপুরে রিংকনের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, শ্বাসরোধে হত্যা : পিবিআই

  • আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ১০:৪৯:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ১১:০৯:৪৩ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুরে রিংকনের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, শ্বাসরোধে হত্যা : পিবিআই
স্টাফ রিপোর্টার ::
প্রায় এক বছর আগে জগন্নাথপুরে একটি খামারে কর্মরত কিশোর রিংকন বিশ্বাসের মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করেছে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রযুক্তির ব্যবহার করে এক বছর আগের ক্লু-লেস একটি হত্যাকান্ডের উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশের এই তদন্ত সংস্থা। গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, রিংকন বিশ্বাসের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা ছিল না, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। উক্ত দুই আসামি ইতোমধ্যে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অথচ মৃত্যুর পর পরিবারের নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ এটিকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করতে চাইলেও জগন্নাথপুর থানা মামলা নেয়নি। পরে নিহতের মা আদালতে হত্যা মামলা করলে তদন্ত শেষে আবারও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। এরপর বাদীর নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওরে লুলু মেম্বারের মাছের খামারে কাজ করতেন কিশোর রিংকন বিশ্বাস। ২০২৪ সালের ২২ জুন রহস্যজনকভাবে মারা যান তিনি। প্রভাবশালী লুলু মেম্বারের চাপে নিহতের পিতা শ্রীকান্ত বিশ্বাস বাধ্য হয়ে সামান্য মুখাগ্নি শেষে সেদিনই ছেলেকে সমাধিস্থ করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এবং বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় থানা পুলিশ নিহতের পিতার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪ জুন, ২০২৪ তারিখে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করে। এরপর ২৭ জুন, ২০২৪ তারিখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ সমাধি থেকে উত্তোলন করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, রিংকন গাছে উঠে আম পাড়তে গিয়ে পা ফসকে খামারের গোবরের ঢিবিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে নিহতের মা বাসন্তী রানী বিশ্বাস মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে নিজেই বাদী হয়ে আদালতে লুলু মেম্বারসহ ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে জগন্নাথপুর থানার তৎকালীন ওসি হত্যা মামলা রুজু করেন। কিন্তু তদন্ত শেষে পুলিশ আবারও আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে আবারও নারাজি দিলে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য ২৩ মার্চ, ২০২৫ পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামানের নির্দেশনায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. তারিকুল ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সোর্সের সহায়তায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত চিলাউড়া গ্রামের মৃত সাইদুল্লাহর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৩) ও নুরুল হকের ছেলে পাবেল ওরফে তাবেল (২১)-কে ১৭ জুলাই গ্রেফতার করেন। রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা রিংকনকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং অন্যান্য জড়িতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে।

শনিবার (১৯ জুলাই) তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা জানায়, ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে লুলু মেম্বারের খামারের গোয়াল ঘরের পাশের আমগাছ থেকে রিংকনকে আম পাড়তে বলা হয়। গাছে বিদ্যুতের তার থাকায় রিংকন রাজি না হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গোবরের ঢিবিতে মুখ ও মাথা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টিকে দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান বলেন, ঘটনাটি এক বছরেরও বেশি আগের। প্রায় ৯ মাস পর আমরা তদন্তের দায়িত্ব পাই। কোনো ক্লু ছিল না, কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তদন্ত শুরু করি। ধরা পড়ে কিছু সন্দেহজনক কথাবার্তা, যা থেকেই আমরা মূল অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হই। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন

দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন