সুনামগঞ্জ , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থাকবে নৌ ও বিমান বাহিনী সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উদ্বোধন অকেজো ১০ হাজার নলকূপ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জামালগঞ্জে যুবদলের কর্মী সমাবেশে কৃষক লীগ নেতা! ‎সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন সভাপতি শামস শামীম, সম্পাদক জসিম মাছশূন্য হাওর, সংকটে জল-জীবিকা ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে হাজারো মানুষ ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হাউসবোটে নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যটকদের উদ্বেগ বাংলাবাজার ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশ সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের আড্ডা অনুষ্ঠিত ঢাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ

সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব

  • আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৪:২১:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৪:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন
সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব
টাস্কফোর্স কমান্ডার জনের জিম্মায় দিয়েছিলেন ৭০ লক্ষ টাকার গরু
স্টাফ রিপোর্টার :: দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ৯০টি গরুর একটি চালান প্রায় আড়াই মাস আগে জব্দ করেছিল টাস্কফোর্স। আইনী জটিলতার কথা বলে সংশ্লিষ্টরা নিলাম না দিয়ে স্থানীয় ৫ ব্যক্তির জিম্মায় দিয়ে দেন প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৯০টি গরু। পুলিশ তদন্তে নেমে এখন জানতে পারে ৯০টি গরু জিম্মাদারদের কাছে নেই। স্থানীয়দের আশঙ্কা এগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার মোটা অংকের টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ৯০টি গরুর একটি চালান সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদী থেকে জব্দ করে টাস্কফোর্স। নিয়মানুযায়ী নিলামের প্রস্তুতি নিলে আইনী জটিলতা দেখা দেওয়ায় এগুলো দোয়ারাবাজারের ৫জন ব্যক্তির জিম্মায় দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের প্রতিনিধিদের সামনে টাস্কফোর্স কমান্ডার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসান হৃদয় দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজারের জাহাঙ্গীর আলম, সাব্বির আহমদ, বালিহড়া গ্রামের হারুনুর রশিদ, ধর্মপুর গ্রামের নাজমুল হাসান ও দোয়ারাবাজারের বাহার উদ্দিনের কাছে ৯০টি গরুর আইনী জিম্মা দেন।
এসময় দায়িত্বপ্রাপ্তরা ৯০টি গরুর বিভিন্ন আলামতও নথিবদ্ধ করেন। পাশাপাশি টাস্কফোর্স কমান্ডার বিজিবিকে নিয়মিত মামলা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। জানা গেছে, ৯০টি গরু জিম্মায় দেওয়ার আগে প্রাণিসম্পদ অফিস নিশ্চিত করেছিল এগুলো ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা হয়েছিল।
কিন্তু দোয়ারাবাজারের গরুর হাটের ইজারাদার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অভিযোগ করায় নিলামে বিপত্তি দেখা দেয়। ফলে নিলাম না দিয়েই স্থানীয় ৫ ব্যক্তির জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল গরুগুলো। কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে নিলাম দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই আল আমিন ঘটনাস্থলে সরেজমিন পরিদর্শনে যান জব্দকৃত গরুগুলো কোথায় আছে দেখার জন্য। তিনি জিম্মাদারদের সঙ্গে দেখা করে গরুগুলো কোথায় আছে জানতে চাইলে কেউ তাকে গরু দেখাতে পারেনি। পরে পুলিশের এই কর্মকর্তা গত ১০ জুন আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে গরুগুলো জিম্মাদাররা তাকে দেখাতে পারেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন। জিম্মাদার হারুন রশিদ বলেন, গরুগুলো বিভিন্ন স্থানে আছে। আমারগুলোও আমার কাছে নেই। কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে আছে। অপর জিম্মাদার নাজমুল হাসান বলেন, আমার গরুগুলোও আমার কাছে নাই। এগুলো বাঁশতলা এলাকায় আছে। তাহলে পুলিশ কেন খুঁজে পেলনা জানতেই চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমি এ নিয়ে চরম পেইনের মধ্যে আছি। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, আমি সুনামগঞ্জ সদর থানা থেকে বদলি হয়ে এসেছি। তবে এর আগে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গরুগুলো জিম্মাদারদের কাছে পাইনি। এসংক্রান্ত প্রতিবেদন আমি আদালতে জমা দিয়ে এসেছি।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, ৯০টি গরু টাস্কফোর্স কমান্ডার ৫জনকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এখন পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে জানতে পেরেছে এগুলো জিম্মাদারের কাছে নেই।এ বিষয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। আদালত এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে টাস্কফোর্স কমান্ডার লিখিত নিয়েই ৫জনের জিম্মায় গরুগুলো দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওই ঘটনার টাস্কফোর্স কমান্ডার মেহেদি হাসান হৃদয় বলেন, আমি বিজিবিকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়ে গরুগুলো ৫ জনের জিম্মায় দিয়েছিলাম। এগুলো রাখার এখতিয়ার আমাদের নেই। এ বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নিবেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ

সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ