লঞ্চঘাট এলাকা
সরকারি ভূমি উদ্ধার হবে কবে?
- আপলোড সময় : ১৭-০৭-২০২৫ ০৯:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৭-০৭-২০২৫ ০৯:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকার ৩১ শতক সরকারি ভূমি কবে উদ্ধার হবে - এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে, শহরের লঞ্চঘাট এলাকার বিলুপ্ত ‘বেঙ্গল ওয়াটারের অফিস’ নামের ভূমিতে একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত চলে আসছে রমরমা ব্যবসা-বাণিজ্য।
জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল সোমবার লঞ্চঘাট-পূর্ব ইব্রাহীমপুর খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে শহরতলির পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের ৩ শতাধিক বাসিন্দার স্বাক্ষরিত আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের আশ্বাস দেন গ্রামবাসীকে।
বর্তমানে সরকারী ১নং খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ১৬০১ দাগের ৩১ শতক জায়গায় বিলুপ্ত বেঙ্গল ওয়াটারের অফিস, বন বিভাগের রাস্তা, নদীর তীরসহ অন্যান্য জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান কোঠা ভাড়া দিয়ে মাসে লক্ষ টাকা আয় করে আসছেন বেঙ্গল ওয়াটার অফিস দখল করে থাকা অবৈধ বসতিরা।
অপরদিকে, সদর উপজেলার সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষার্থীসহ বয়স্ক মহিলা পুরুষ, রোগী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রতিদিন খেয়া নৌকায় পারাপার হয়ে শহরে আসা-যাওয়া করছেন। কিন্তু সুনামগঞ্জ শহরের এই লঞ্চঘাট এলাকায় শহর ও পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামে যোগাযোগ খেয়াঘাট সংলগ্ন পূর্বদিকে প্রায় ১৭ বছর আগে থেকে সুরমা নদীরপাড় দখল করে অবৈধ মার্কেট গড়ে উঠেছে। এতে নারী, মেয়ে শিক্ষার্থীরা খেয়া পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়ানোর জায়গা পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, লঞ্চঘাটের ভূমি উদ্ধারে সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষ। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লঞ্চঘাটের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের জন্য পরিদর্শন করেছেন। আমি আবারো সদরের ইউএনকে বলে দেবো যাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ