সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ , ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আজ থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি সিলেটবাসী নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত : সাবেক মেয়র আরিফ সীমান্তে অবৈধ গরু-মহিষের ব্যবসা, সক্রিয় চোরাকারবারিদের শক্তিশালী চক্র বজ্র নিরোধক দন্ড কাজ করছে কি-না জানেনা কেউ! চলতি মাসেই গ্রিন সিগন্যাল পাবেন ২০০ জন পাঁচ আসনে নবীন মুখের ছড়াছড়ি অদ্বৈত জন্মধাম পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি শিশুযত্ন কেন্দ্র, পাঁচ ভুবনে বেড়ে উঠছে শিশুরা হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. নূরুল ইসলামের শোডাউন কারা সেফ এক্সিট চায়- নাহিদকে স্পষ্ট করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার নির্মাণের পর থেকেই বন্ধ খাবার পানি পরীক্ষাগার বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ওএসডি, আছে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগও দোয়ারাবাজারের চিলাই নদীর বালু লুট ঠেকাতে বাঁশের ব্যারিকেড ফেরার সময় চলে এসেছে : তারেক রহমান আদালত চত্বরে নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, প্রাক্তন স্বামী গ্রেফতার আগামী নির্বাচনে ইসলামি সকল দলের বাক্স হবে একটা : চরমোনাই পীর ‎কেন্দ্রীয় যুবলদের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের গণসংযোগ ‎জামালগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার লিটনের মতবিনিময় শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো সিএনজি স্ট্যান্ড,অনুমোদন নেই একটিরও তাহিরপুরে যাদুকাটা বালুমহাল ১ এর সীমানা নির্ধারণ

শহরের খালগুলো উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৯:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৯:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
শহরের খালগুলো উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
সুনামগঞ্জ শহরের খালগুলো একসময় ছিল এর প্রাণসঞ্চারী শিরা-উপশিরার মতো। কামারখাল, বলাইখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল, নলুয়াখালি খাল, ধোপাখালি খাল ও গাবরখালি খাল - এই সাতটি খাল শুধু পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমই ছিল না; এগুলো পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও শহরের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, ধারাবাহিক প্রশাসনিক অবহেলা, প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খালগুলো আজ অস্তিত্ব হারানোর পথে। ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে যে খাল উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল, তা ছিল জনমনে আশার সঞ্চারকারী। দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযান অল্প সময়ের মধ্যেই থেমে যায়। তার ফলস্বরূপ, খালগুলো আবারও বেদখলে চলে গেছে- লাল দাগ মুছে ফেলে, নতুন করে স্থাপনা গড়ে তোলে খাল গিলে খাচ্ছে দখলদাররা। উদ্বেগজনক হলো, এসব অবৈধ দখলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রভাবশালী বাসিন্দা, পৌরসভা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি ও ধর্মীয় স্থাপনাও। এই অবস্থা কেবলমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি নয়, বরং এটি আমাদের সামষ্টিক মূল্যবোধ ও নাগরিক দায়িত্ববোধের প্রশ্নও তুলে ধরে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর আইনি উদ্যোগ ও আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও খাল উদ্ধারে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা না থাকায় দখলদারদের সাহস বেড়েছে। তারা জানে, দুদিনের উচ্ছেদের পর কর্তৃপক্ষ আর ফিরে তাকায় না। তাই অবাধে তারা আবারো দখলে নামে। আমরা মনে করি, অভিযান কেবল খাল উদ্ধারে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এটি হতে হবে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার অংশ। অসচ্ছল দখলদারদের পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করলে মানবিক সংকট তৈরি হয়। এটি দখল পুনরাবৃত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খালপাড় সংরক্ষণ ও বনায়ন উচ্ছেদকৃত জায়গায় দ্রুত গাছ লাগানো ও খালপাড়ের স্থায়ী ঘেরা বাঁধ দিলে আবার দখলের সাহস পাবে না কেউ। এছাড়া খাল দখলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি। সুনামগঞ্জকে একটি বসবাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে খাল উদ্ধার কেবল জরুরি নয়- এটি একান্ত অবশ্যম্ভাবী। এখন আর আশ্বাসে নয়, জনগণ চায় কার্যকর পদক্ষেপ। তাই সময় এসেছে শক্ত অবস্থান গ্রহণের - না হলে অচিরেই এই শহরের নামও কেবল একটি ডুবে যাওয়া স্মৃতি হয়ে থাকবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সিলেটবাসী নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত : সাবেক মেয়র আরিফ

সিলেটবাসী নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত : সাবেক মেয়র আরিফ