সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ , ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট” ১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ আজ রাষ্ট্রীয় শোক শহরে জামায়াতের প্রচার মিছিল রেমিট্যান্স যোদ্ধা থেকে সফল উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল মাদকসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মামলা! ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি : নাহিদ ইসলাম ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসন তোরণ থেকে আলফাত স্কয়ার শুরু হচ্ছে চার লেন সড়ক নির্মাণকাজ নতুন আঙ্গিকে ‘হোটেল নূরানী’র শুভ উদ্বোধন জনগণের সেবার দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে : অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সম্ভব-অসম্ভবে ভোটের প্রস্তুতি শাপলা প্রতীক কেউ পাবে না: বিবিসি বাংলাকে সিইসি

শহরের খালগুলো উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৯:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৯:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
শহরের খালগুলো উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
সুনামগঞ্জ শহরের খালগুলো একসময় ছিল এর প্রাণসঞ্চারী শিরা-উপশিরার মতো। কামারখাল, বলাইখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল, নলুয়াখালি খাল, ধোপাখালি খাল ও গাবরখালি খাল - এই সাতটি খাল শুধু পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমই ছিল না; এগুলো পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও শহরের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, ধারাবাহিক প্রশাসনিক অবহেলা, প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খালগুলো আজ অস্তিত্ব হারানোর পথে। ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে যে খাল উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল, তা ছিল জনমনে আশার সঞ্চারকারী। দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযান অল্প সময়ের মধ্যেই থেমে যায়। তার ফলস্বরূপ, খালগুলো আবারও বেদখলে চলে গেছে- লাল দাগ মুছে ফেলে, নতুন করে স্থাপনা গড়ে তোলে খাল গিলে খাচ্ছে দখলদাররা। উদ্বেগজনক হলো, এসব অবৈধ দখলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রভাবশালী বাসিন্দা, পৌরসভা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি ও ধর্মীয় স্থাপনাও। এই অবস্থা কেবলমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি নয়, বরং এটি আমাদের সামষ্টিক মূল্যবোধ ও নাগরিক দায়িত্ববোধের প্রশ্নও তুলে ধরে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর আইনি উদ্যোগ ও আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও খাল উদ্ধারে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা না থাকায় দখলদারদের সাহস বেড়েছে। তারা জানে, দুদিনের উচ্ছেদের পর কর্তৃপক্ষ আর ফিরে তাকায় না। তাই অবাধে তারা আবারো দখলে নামে। আমরা মনে করি, অভিযান কেবল খাল উদ্ধারে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এটি হতে হবে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার অংশ। অসচ্ছল দখলদারদের পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করলে মানবিক সংকট তৈরি হয়। এটি দখল পুনরাবৃত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খালপাড় সংরক্ষণ ও বনায়ন উচ্ছেদকৃত জায়গায় দ্রুত গাছ লাগানো ও খালপাড়ের স্থায়ী ঘেরা বাঁধ দিলে আবার দখলের সাহস পাবে না কেউ। এছাড়া খাল দখলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি। সুনামগঞ্জকে একটি বসবাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে খাল উদ্ধার কেবল জরুরি নয়- এটি একান্ত অবশ্যম্ভাবী। এখন আর আশ্বাসে নয়, জনগণ চায় কার্যকর পদক্ষেপ। তাই সময় এসেছে শক্ত অবস্থান গ্রহণের - না হলে অচিরেই এই শহরের নামও কেবল একটি ডুবে যাওয়া স্মৃতি হয়ে থাকবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা

সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা