শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জে ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম জয়কে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় দেখার হাওরের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গণিগঞ্জ গ্রামের মুহাদ্দিস মো. বশির আহমদের পুত্র এবং গণিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী বাজারস্থ ফেমাস টেলিকমের স্বত্বাধিকারী।
শুক্রবার (১১ জুন) রাত ১টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় গোবিন্দপুর এলাকার দেখার হাওরে কিনারায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, নিখোঁজ ফখরুল ইসলাম জয় গত ২৮ জুন সকালে নিজ বাড়ী থেকে স্থানীয় নোয়াখালী বাজারের ফেমাস টেলিকমে যান। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। দোকানের সাটার অর্ধ নামানো অবস্থায় নিখোঁজ হন তিনি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। নিখোঁজের পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ফখরুল ইসলাম জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরিবারের লোকজন, শান্তিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পাশাপাশি নোয়াখালী বাজার ও গণিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে তার সন্ধানে মানববন্ধনও করা হয়।
শুক্রবার (১১ জুন) রাত ১টার দিকে একজন প্রাইভেট কার চালক মুমূর্ষু অবস্থায় সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দপুর এলাকার দেখার হাওরে কিনারায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফখরুল ইসলাম জয়কে দেখতে পান। এসময় প্রাইভেটকারের চালক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার এবং দ্রুত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ফখরুল ইসলাম জয়ের চাচাতো ভাই মাহবুব আলম জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে গোবিন্দপুরের একজন গাড়ি চালক আমার চাচার মোবাইলে কল দেন। এ সময় তিনি ফখরুল ইসলামকে হাত-পা বাঁধা এবং অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলেও অবগত করেন। পরে আমরা দ্রুত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চলে আসি। হাসপাতালে এসে দেখি, উনার শরীরে অনেক জায়গায় জখম আছে। আমার ভাইকে মৃত ভেবে অপহরণকারীরা ফেলে গেছে।
ফখরুল ইসলামের ভাই ফয়সাল আহমেদ বলেন, তার ভাই ২৮ জুন সকালে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার পরপরই পরিবার শান্তিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। খোঁজাখুঁজি করেও ফখরুলের সন্ধান পাননি স্বজনরা। তার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধনও করেন এলাকাবাসী। ফয়সাল বলেন, কে বা কারা আমার ভাইকে অপহরণ করেছে আমরা এখনো জানি না। সে এখনও কথা বলতে পারছে না। সুস্থ হওয়ার পর ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেব।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, ফখরুল ইসলামের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) আকরাম আলী জানান, ফখরুল ইসলাম জয় নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। এখন শুনেছি তাকে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
অপহরণের ১৪ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার
- আপলোড সময় : ১২-০৭-২০২৫ ০১:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১২-০৭-২০২৫ ০১:৩৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ