সুনামগঞ্জ , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ , ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এনসিপি’র সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন অপহরণের ১৪ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে টিআরের বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে অক্টোবরে আসামি থেকে রাজসাক্ষী : সুবিধা-অসুবিধা জুয়া ও মাদকে সয়লাব শ্রীপুর বাজার জগন্নাথপুরে এমপি প্রার্থী এমএ কাহারের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশ গড়তে চাই : আরিফুল হক চৌধুরী নিত্য যানজটে ভোগান্তি শহরবাসীর জেলায় পাসের হার ৬৮.৪৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন বিএনপিতে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না : কামরুজ্জামান কামরুল শিক্ষক সংকটের মধ্যে আরো ৫ জন বদলি! ভোটের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ হাওরে মাছের আকাল, চাষের পাঙ্গাসই এখন ভরসা তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুই শিক্ষক! দিরাই আ.লীগের সম্পাদক প্রদীপ রায় কারাগারে ৬ দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

আসামি থেকে রাজসাক্ষী : সুবিধা-অসুবিধা

  • আপলোড সময় : ১২-০৭-২০২৫ ০১:২৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৭-২০২৫ ০১:২৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
আসামি থেকে রাজসাক্ষী : সুবিধা-অসুবিধা
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: হত্যাকা-সহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের বিচারে অনেক ক্ষেত্রেই আসামিদের মধ্য থেকে একজনকে রাজসাক্ষী করা হয়। যিনি ক্ষমা করে দেওয়ার শর্তে, কিংবা কম সাজার বিনিময়ে যে সাক্ষী অন্যান্য অপরাধীর জড়িত থাকার বিষয়সহ ঘটনার স¤পূর্ণ সত্য বিবরণ আদালতের কাছে তুলে ধরেন, তাকেই করা হয় রাজসাক্ষী। সর্বশেষ সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিনি বলেছেন, “আমি জুলাই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত।” যে মামলায় তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন, সেই মামলার অপর দুই আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন বৃহ¯পতিবার অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন আদালতকে বলেন, “আমি শুনেছি। আই ফিল গিল্টি, আমি জুলাই অপরাধের বিস্তারিত আদালতের সামনে তুলে ধরতে চাই।” রাজসাক্ষী হলে সুবিধা ও অসুবিধা কী : দোষ স্বীকার করে আদালতের সামনে সত্য সাক্ষ্য দিতে চাইলে আদালত বেশিরভাগ সময় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে থাকেন। তখন আদালত তাকে রাজসাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করেন। কোনও অপরাধী তার জড়িত থাকার বিষয়ে এবং অন্যান্য অপরাধীর বিষয়ে তার জানা সব তথ্য আদালতের কাছে তুলে ধরবেন। এই শর্তে আদালত তাকে অভিযোগের দায় থেকে ক্ষমা করে দেওয়া, কিংবা স্বল্প সাজার প্রস্তাব দিতে পারেন। ফৌজদারি অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ পাওয়া আসামিকে আদালতের পরিভাষায় সাধারণত রাজসাক্ষী বলা হয়। তবে আইনের কোথাও এটাকে রাজসাক্ষী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। সাক্ষ্য আইনের ১৩৩ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অন্য অপরাধী সাক্ষী হতে পারেন। এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানকে রাজসাক্ষীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পরে অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হয়ে যাওয়ায় তিনি আর রাজসাক্ষী হওয়ার সুবিধা নিতে পারেননি। তবে এই সুযোগটির কিছু অসুবিধাও আছে। রাজসাক্ষী হলে সহ-অপরাধীরা তাকে শত্রু মনে করে থাকেন। যে কারণে তাকে ওইসব আসামির কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। কারাগারেও তাকে সম্পূর্ণ আলাদা সেলে রাখার বিধান রয়েছে। যদিও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে বৃহস্পতিবার থেকে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের মুখপাত্র ও এআইজি প্রিজন্স (উন্নয়ন) জান্নাত-উল-ফরহাদ বলেন, বৃহ¯পতিবার (১০ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত আদালতের এমন কোনও আদেশ পাননি। তবে কারাগারের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহ¯পতিবার থেকেই সাবেক এই আইজিপিকে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে তার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ বলেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে রাজি হয়েছেন। এখন তিনি কারাগারে কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন। অন্য আসামিদের কাছ থেকে তাকে আলাদা করে পৃথক সেলে রাখা হবে। তার নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। রাজসাক্ষী হলে আর কী সুবিধা তিনি পাবেন জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, মামলার রায় হওয়া পর্যন্ত তিনি কারাগারেই থাকবেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যখন আদালত রায় ঘোষণা করবেন, তখন আদালত যদি তার প্রতি সন্তুষ্ট হন- তাহলে তাকে এ মামলার দায় থেকে সম্পূর্ণ খালাস দিতে পারেন। আবার স্বল্প সাজাও দিতে পারেন। তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে না। তবে এটা আদালতের এখতিয়ারে। -বাংলা ট্রিবিউন

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স