সুনামগঞ্জ , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫ , ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফিটনেসবিহীন মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্সের আকৃতি দিয়ে চলছে রোগী পরিবহন শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা নিতে হবে মানা হচ্ছে না নির্দেশনা : টাঙ্গুয়ার হাওরে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা চলছেই নানা সমস্যায় জর্জরিত বিদ্যালয়, পাঠদান ব্যাহত ঋণের চাপে বাড়ি ছাড়া, ফিরছেন লাশ হয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১৫ প্রাথমিক শিক্ষকরা গ্রামে থাকতে চান না, শহরে বদলি হতে চান : গণশিক্ষা উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা : অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ মিলল মেঘনায় আজ জেলা সিপিবি’র সম্মেলন এনএসআই সদস্য পরিচয়ে বিয়ে-প্রতারণা, তরুণ গ্রেপ্তার বালুর আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যৌথবাহিনীর অভিযানে রিভলবার উদ্ধার একটি পাথর সরালে জীবন ঝালাপালা করে দেব : ডিসি সারওয়ার আলম সীমান্তে ভারতীয় মোটরসাইকেল জব্দ মধ্যবাজারে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী আহত চারটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স অকেজো একদিনও সেবা পায়নি চার উপজেলার মানুষ সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

‘মব সন্ত্রাস’ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ১২:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ১২:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
‘মব সন্ত্রাস’ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে এক গভীর উদ্বেগজনক প্রবণতা দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে- তা হলো ‘মব সন্ত্রাস’, অর্থাৎ উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে তথাকথিত বিচার ও শাস্তি। তুচ্ছ বিষয়ের সূত্র ধরে বেধড়ক মারধরের ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় মবের হাতে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাগুলো আমাদের নৈতিক শূন্যতার এক কঠিন চিত্র তুলে ধরছে। একটি সভ্য রাষ্ট্রে বিচার হয় আদালতে, প্রমাণ ও যুক্তির ভিত্তিতে। কিন্তু মব কালচারে সে ন্যায্যতার কোনো স্থান থাকে না। থাকে কেবল গুজব, উত্তেজনা এবং সহিংসতা। এতে সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হয় নির্দোষ মানুষ এবং রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার ব্যবস্থা। গণপিটুনির মতো অপরাধ সমাজে এক ধরনের অরাজকতা ও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। আমরা মনে করি, এ অবস্থার অবসানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরি : প্রতিটি গণপিটুনি ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিডিও ফুটেজ বা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার ভিত্তিতে অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার করতে হবে। এতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজে সাহস পাবে না। এছাড়া আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করা গেলে মবকারীরা আর হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করবে না। এছাড়া গুজব প্রতিরোধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি ও তথ্য প্রচার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গুজব ছড়ালে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বার্তা দিতে হবে- “আইনের বাইরে কোনো বিচার নেই”। মব সন্ত্রাস বন্ধ করতে না পারলে আমরা একটি অসহিষ্ণু, হিংস্র এবং আইনবিচ্যুত সমাজের দিকে এগিয়ে যাব। এই প্রবণতা শুধু একটি বা দুটি প্রাণহানি নয়, এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেয়। এখনই সময়- রাষ্ট্র, প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগে এই ভয়াবহ ব্যাধিকে রুখে দেওয়ার।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ফিটনেসবিহীন মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্সের আকৃতি দিয়ে চলছে রোগী পরিবহন

ফিটনেসবিহীন মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্সের আকৃতি দিয়ে চলছে রোগী পরিবহন