সুনামগঞ্জ , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ , ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পাঁচ গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে : ট্রাইব্যুনাল ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি, স্পষ্ট হচ্ছে অদৃশ্য শত্রু : তারেক রহমান চার উপজেলায় এসিল্যান্ড নেই, দুর্ভোগে সেবাপ্রত্যাশীরা শহরের খাল উদ্ধারে ফের শুরু হচ্ছে অভিযান তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ এনসিপি’র সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন অপহরণের ১৪ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে টিআরের বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে অক্টোবরে আসামি থেকে রাজসাক্ষী : সুবিধা-অসুবিধা জুয়া ও মাদকে সয়লাব শ্রীপুর বাজার জগন্নাথপুরে এমপি প্রার্থী এমএ কাহারের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশ গড়তে চাই : আরিফুল হক চৌধুরী নিত্য যানজটে ভোগান্তি শহরবাসীর জেলায় পাসের হার ৬৮.৪৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন বিএনপিতে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না : কামরুজ্জামান কামরুল শিক্ষক সংকটের মধ্যে আরো ৫ জন বদলি!

‘মব সন্ত্রাস’ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ১২:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ১২:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
‘মব সন্ত্রাস’ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে এক গভীর উদ্বেগজনক প্রবণতা দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে- তা হলো ‘মব সন্ত্রাস’, অর্থাৎ উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে তথাকথিত বিচার ও শাস্তি। তুচ্ছ বিষয়ের সূত্র ধরে বেধড়ক মারধরের ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় মবের হাতে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাগুলো আমাদের নৈতিক শূন্যতার এক কঠিন চিত্র তুলে ধরছে। একটি সভ্য রাষ্ট্রে বিচার হয় আদালতে, প্রমাণ ও যুক্তির ভিত্তিতে। কিন্তু মব কালচারে সে ন্যায্যতার কোনো স্থান থাকে না। থাকে কেবল গুজব, উত্তেজনা এবং সহিংসতা। এতে সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হয় নির্দোষ মানুষ এবং রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার ব্যবস্থা। গণপিটুনির মতো অপরাধ সমাজে এক ধরনের অরাজকতা ও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। আমরা মনে করি, এ অবস্থার অবসানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরি : প্রতিটি গণপিটুনি ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিডিও ফুটেজ বা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার ভিত্তিতে অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার করতে হবে। এতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজে সাহস পাবে না। এছাড়া আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করা গেলে মবকারীরা আর হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করবে না। এছাড়া গুজব প্রতিরোধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি ও তথ্য প্রচার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গুজব ছড়ালে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বার্তা দিতে হবে- “আইনের বাইরে কোনো বিচার নেই”। মব সন্ত্রাস বন্ধ করতে না পারলে আমরা একটি অসহিষ্ণু, হিংস্র এবং আইনবিচ্যুত সমাজের দিকে এগিয়ে যাব। এই প্রবণতা শুধু একটি বা দুটি প্রাণহানি নয়, এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেয়। এখনই সময়- রাষ্ট্র, প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগে এই ভয়াবহ ব্যাধিকে রুখে দেওয়ার।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স