সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫ , ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেড় কোটি টাকার বরাদ্দে নয়ছয় জনগণের স্বার্থবিরোধী বিষয়ে কোনো ছাড় নয় : তারেক রহমান পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু জনউদ্যোগের জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন জেলা খেলাফত মজলিসের তরবিয়তী মজলিস অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদন্ড সীমান্তে চার বাংলাদেশি নাগরিক ও দুই পাচারকারী আটক শান্তিগঞ্জে ৫ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন প্রকাশ্যে চেলা নদীর বালু লুট গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প ধোপাজানে থেমে নেই বালু-পাথর লুটপাট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প কাজে আসেনি, শাল্লার পাঁচ গ্রাম অন্ধকারে ছাতকে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান : ৪টি অবৈধ ড্রেজার বিকল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, কনস্টেবল শ্রীঘরে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন কারাগারে মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু

আমবাড়ি-আদারবাজার খেয়াঘাট স্থানান্তর, জনমনে স্বস্তি

  • আপলোড সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০৮:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০৮:১৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
আমবাড়ি-আদারবাজার খেয়াঘাট স্থানান্তর, জনমনে স্বস্তি
স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ আমবাড়ি-আদারবাজার খেয়াঘাটের আমবাড়ি অংশটি স্থানান্তরের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খেয়াঘাটটির নতুন অবস্থান বাজারের মাঝামাঝি স্থানে হওয়ায় পারাপারকারী যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমেছে। জানা যায়, প্রায় অর্ধকোটি টাকা সরকারি রাজস্বের বিনিময়ে পরিচালিত এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। দোয়ারাবাজারের লক্ষ্মীপুর, নরসিংপুর, সুরমা ও বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাসিন্দারা এই ঘাট ব্যবহার করে জেলা সদরে যাতায়াত করেন। যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি এখানে মালামাল ও ছোট যানবাহনও নিয়মিত পারাপার হয়। খেয়াঘাটের পূর্বের অবস্থানটি যাত্রীদের জন্য বিশেষ করে নারী ও বৃদ্ধদের জন্য ছিল দুঃসহ। ঘাটে ওঠানামার সুব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের ভিড়ে, হুড়োহুড়ি ও হেয়ালিপনার ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তাই বহুদিন ধরে দাবি ছিল, ঘাটটিকে বাজারের মাঝামাঝি স্থানে স্থাপন করা হোক। অবশেষে ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে পূর্বের ইজারাদারের কার্যক্রম বাতিল হলে নতুন ইজারাদার স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ঘাটটি বাজারের মাঝামাঝি স্থানে স্থানান্তর করেন। এতে রঙ্গারচর, হরিনাপাটিসহ আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। খেয়াযাত্রী আব্দুল হামিদ বলেন, আমবাড়ির ঘাটটি বাজারের মাঝামাঝি থেকে পরিচালিত হওয়ায় আমরা খুশি। মুর্শেদ আলী বলেন, ঘাটটি স্থানান্তরিত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি। বৃদ্ধ নারী জয়তুন বিবি বলেন, অখন বাজার কইরা সহজেই গাঙ পার হইয়া বাড়ি যাইতাম পারমু। যাত্রী সিকন্দর আলী বলেন, এখন আমাদের জন্য অনেক সুবিধ াহইছে। বাজার সওদা নিয়ে তাড়াতাড়ি পার হইয়া বাড়িত যাইতে পারমু। এ ব্যাপারে রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই’র কাছে ঘাট স্থানান্তর নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে যেখান থেকে আমবাড়ি অংশের ঘাটটি পরিচালিত হচ্ছে সেখানেই জেলা পরিষদের নির্ধারিত ঘাট ছিল এই স্থান। মাঝখানে নদী ভাঙনের কারণে ঘাটটি পূর্বদিকে সরে যায়। আবার ঘাটটি পূর্বের স্থানে চলে আসায় এলাকার জনসাধারণ বিশেষ করে রঙ্গারচর হরিনাপাটি গ্রামবাসীর সাথে আমি একমত পোষণ না করে পারছি না। যেহেতু রাতদিন তারাই এ খেয়াঘাট দিয়ে পারপার হয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে মান্নারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইজ্জত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমবাড়ি অংশের খেয়াঘাট স্থানান্তর হওয়ায় আমবাড়ি পূর্ব বাজারের কিছু ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। বাজারটি পশ্চিমমুখি হয়ে যাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স