সুনামগঞ্জ , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সুনামগঞ্জকে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনায় বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষকরা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন : অতিরিক্ত কৃষি সচিব নদী ভাঙন রোধের দাবিতে ভাদেরটেক গ্রামবাসীর মানববন্ধন গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জামালগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা অ্যাড. নূরুল ইসলামের গণসংযোগ ভক্তি আর সম্প্রীতিতে মুখরিত রথযাত্রা চাঁদা না দেয়ায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত : একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক মাছ বাজারে প্রতারণার ফাঁদে ক্রেতারা

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা

  • আপলোড সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ১২:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ১২:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন
হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা
মোহাম্মদ নূর ::
সুনামগঞ্জ শহরের হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কো¤পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বীমার মেয়াদ শেষ হলেও বছরের পর বছর ঘুরে টাকা পাচ্ছেন না অনেক গ্রাহক। কো¤পানির ট্রাফিক পয়েন্টস্থ অফিসে অভিযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন ভুক্তভোগীরা, তবে ফিরছেন আশাহত হয়ে।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের পরিবেশ চরম বিশৃঙ্খল। গ্রাহকদের চিৎকার ও ক্ষোভে ভরপুর ছিল পুরো কার্যালয়। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকলেও দেখা মেলে কেবল সহকারী ম্যানেজার এমদাদুর রহমান ও পিয়ন আব্দুল আহাদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বীমার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরেও বছরের পর বছর আসতে হয় এই বীমা অফিসে। অফিসে আসার পরও বীমার টাকা মিলে না। শুধু দেওয়া হয় তারিখ আর তারিখ।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জুলফিকার জানান, আমাদের বীমার মেয়াদ অনেক বছর আগেই সম্পন্ন। কিন্তু এখনো আমরা টাকা পাচ্ছি না। এই অফিসে উঠানামা করতে গিয়ে মাসে দশ জোড়া জুতা পরিবর্তন করতে হয়। তবুও মিলে না কোন আশ্বাস। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবো এদের প্রতারণা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক।
বীমা কোম্পানিটির অফিসে আরো ভুক্তভোগী নারীদের দেখা মিলে। একজন বয়স্ক নারী হাফিজুন। তিনি তাহিরপুরের বাদাঘাট থেকে এসেছেন। তার অভিযোগ বীমার বোনাসের সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে, এখনো তিনি তার প্রাপ্য পাননি। তিনি বলেন, অফিসের পিয়ন আব্দুল আহাদ আমার বাড়িতে গিয়ে সব সময় টাকাটা নিয়ে আসতো। আমার মেয়ের নামে এই বীমা। অনেক কষ্টের জমানো টাকা।
মুসলিমপুরের বাসিন্দা ভুক্তভোগী রোকেয়া জানান, মেয়াদ পেরিয়ে বীমার দুই বৎসর চলে গেছে। অফিসে একবার এসেছিলাম। তারা আমাকে বলেছে রোজা ঈদের পরে বীমার টাকা দিয়ে দিবে। পরে আবার এলাম। তারা বলল, কোরবানী ঈদের পরে পাবেন। এভাবেই শুধু মিথ্যা আশ্বাস আমাদের দেওয়া হয়।
এরকম অনেক ভুক্তভোগীর দেখা মিলে প্রতিদিন সুনামগঞ্জের হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সে গেলে।
এ বিষয়ে অফিসের সহকারী ম্যানেজার এমদাদুর রহমান জানান, আমাদের কিছু করার নেই। আমরা শুধু এখান থেকে প্রসেসিং করে দেই। আমার নিজেরও অনেক মাসের বেতন পাওনা রয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের হোমল্যান্ড অফিসের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এম এ মন্নানকে অফিসে পাওয়া যায়নি। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স