সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এবার নয়, পরের নির্বাচনে ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাড়ছে ‘টার্গেট কিলিং’, অস্ত্রের উৎস নিয়ে শঙ্কা সুনামগঞ্জের ৩টি আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন, মাঠ ছাড়ছেন না বঞ্চিত নেতারা স্থানীয়দের পরামর্শ নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবো : পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একাধিক হোটেল ও রেস্তোরাঁকে জরিমানা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন,কারো প্ররোচনায় ভুল করবেন না: আনিসুল হক অসুস্থ মানিকের পাশে দাঁড়ালেন বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও মেরিন দেবনাথ ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ডিসিদের রদবদল করা হচ্ছে : গোলাম পরওয়ার পর্যটকদের ফেলা প্লাস্টিক-পলিথিন-কাঁচের বোতলে ভরেছে হাওর, ব্যাহত কৃষিকাজ সবাই মিলে টাঙ্গুয়ার হাওরকে সংরক্ষণ করতে হবে ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫ সনাক-ইয়েস-এসিজি’র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা কমরেড শ্রীকান্ত দাশের জীবনাদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় তাহিরপুরে ১১শ কৃষককে বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা, আপিল করবে মন্ত্রণালয় ৩০ একর জায়গা দখল করে মৎস্য নিধনের অভিযোগ ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮ হত্যাকান্ড সদর হাসপাতালের কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা

  • আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৮:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৯:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা
বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ার সুরমা নদী তীরবর্তী ‘বেকারিঘাট’ এলাকায় সন্ধ্যা হলেই বাড়ে বহিরাগত লোকদের আনাগোনা। পাড়ার একটি বাসাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে নানা আলোচনা। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ওই বাসা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করেন মাদকসেবীরা। স্থানীয় এক যুবক প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসলেও ভয়ে মুখ খুলেন না কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সম্প্রতি ওই এলাকাটি মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শহরের ইয়াবাসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এলাকার উঠতি বয়সী যুবকরা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের এই রমরমা ব্যবসা বন্ধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
উকিলপাড়ার ‘বেকারিঘাট’ এলাকার মতো শহরের অন্তত ১০ থেকে ১২টি স্থানে অবৈধ এই মাদক ব্যবসার স্থান চিহ্নিত করেছেন এই প্রতিবেদক। যেখানে প্রকাশ্য গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক চক্র।

অনুসন্ধানে বলছে, পৌর শহরের তেঘরিয়া, বড়পাড়া, আরপিননগর, উকিলপাড়া, সুলতানপুর, আফতাব নগর, হাছননগর, বনানীপাড়া, বলাকা, ধোপাখালি, নবীনগর, ষোলঘর, ওয়েজখালি, পিরোজপুর এলাকায় রয়েছে মাদক কারবারের এক বা একাধিক স্পট। যেখান থেকে ইয়াবা, গাঁজা, মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। এসব এলাকার মাদক ব্যবসা পরিচালনার সাথে যুক্ত রয়েছেন এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িতরা। মাদকের নির্দিষ্ট স্পট ছাড়াও মাদক কারবারি চক্রের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ পর্যায়েও মাদক ব্যবসা পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছে সূত্র।
শহরের তেঘরিয়া এলাকায় সরেজমিনে সপ্তাহব্যাপী অনুসন্ধান চালালে জানাযায়, সরকারি পুকুর এলাকায় রয়েছে অন্তত তিনটি মাদক কারবারির আস্তানা। শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রকাশ্যে এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে একাধিক চিহ্নিত ব্যক্তি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, সরকারি পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা ৩ যুবকসহ একাধিক ব্যক্তি মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছেন। এলাকার কোন কোন ঘরে মাদক বিক্রি হয় তা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন যে কেউ।

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম শ্যামল বলেন, এলাকায় মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এই এলাকার কোন ঘরে মাদক বিক্রি হয় তা সবাই জানে। এলাকায় সচেতন মানুষরা মাদকসেবীদের কারণে অতিষ্ঠ। মাদকের বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। না হলে এলাকার যুব সমাজ বিপথগামী হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরপিননগর এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, এলাকায় ইয়াবার বড় ডিলার পংকজ। সে আরপিননগর ও বড়পাড়া থেকে এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করতো। সে এখন জেলে থাকার পর তার ব্যবসা তার অনুসারী ও সাপ্লায়াররা করছে। শিবলু নামের এক সাপ্লায়ার রয়েছে যে ভ্রাম্যমাণভাবে মাদক ব্যবসা করে আসছে। রাত হলেই পাড়ায় মাদকসেবীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। রাত গভীর হলে রাস্তায় চলাচল অনিরাপদ হয়ে যায়। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। মাদক কারবারিদের বিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে যাবে।
এদিকে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অফিস জানিয়েছে, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে দপ্তরটি। চলতি মাসে মাদকসেবী ও কারবারিদের বিরুদ্ধে ২৮টি নিয়মিত মামলা দায়েরের পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য জব্দ ও জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাহিদ হাসান সৌরভ।
মাদক বিক্রয়ের অভিযোগ পেলে সাথে সাথে অভিযান পরিচালনার কথা জানান এই কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাকির হোসাইন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তৎপর রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
এবার নয়, পরের নির্বাচনে ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

এবার নয়, পরের নির্বাচনে ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা