সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের ‘অভিযোজন এক্সপো’ সম্পন্ন কাজের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুররা শহরমুখী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন! লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

বিটিসিএলের দ্রুত গতির ইন্টারনেট গ্রাহক টানতে উদ্যোগ নেই

  • আপলোড সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ১২:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ১২:৫৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিটিসিএলের দ্রুত গতির ইন্টারনেট গ্রাহক টানতে উদ্যোগ নেই
শামস শামীম ::
সুনামগঞ্জে বিটিসিএলের (বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড) জিপন (এঢ়ড়হ গিগাবিট অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক) দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হলেও প্রচারণার অভাবে উন্নত সেবা থেকে বঞ্চিত কাক্সিক্ষত গ্রাহকরা। এই কার্যক্রম চালুর প্রায় দুই বছর হলেও গ্রাহকের সংখ্যা কম লক্ষ করা গেছে।
অথচ সুনামগঞ্জ বিটিসিএল প্রায় ৩ হাজার ৬০০ গ্রাহককে ৫ এমবিপিএস থেকে ১শ এমবিপিএস পর্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।

সুনামগঞ্জ বিটিসিএল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে পৌর শহরে জিপন প্রকল্পে মাটির তলদেশ দিয়ে ফাইবার অপটিক্যাল লাইন স্থাপন করা হয়েছে। লাইন স্থাপনের পরই গ্রাহকরা নিজ উদ্যোগে খোঁজ নিয়ে সংযোগ নিচ্ছেন। সরকারিভাবে গ্রাহক টানতে তেমন উদ্যোগ নেই। তাছাড়া ঝড় বৃষ্টি বা বৈদ্যুতিক লোডের কারণে সংযোগে সমস্যা হলে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাননা গ্রাহকরা। তবে আগের তুলনায় জিপন প্রযুক্তির সংযোগে গ্রাহকের সমস্যা কম হচ্ছে এবং হলেও প্রযুক্তির সাহায্যে অফিস থেকেই সমস্যা মনিটরিং করা যায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর ও পশ্চিম বাজার বাদে পুরো পৌর শহরে অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জিপন প্যাকেজে ৬৭৫ জন গ্রাহক সংযোগ নিয়েছেন। যার মধ্যে পোস্টপেইড ও প্রিপেইড গ্রাহক রয়েছেন। সর্বোচ্চ ১০০ এমবিপিএস থেকে সর্বনিম্ন ৫ এমবিপিএস পর্যন্ত সেবার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১০০ এমবিপিএস সংযোগ সুনামগঞ্জের কয়েকটি সরকারি অফিস নিয়েছে।

এদিকে গ্রাহক ও সুধীজন মনে করেন, সরকারি বিটিসিএলের যন্ত্রপাতিসহ আনুষঙ্গিক যে সক্ষমতা আছে তা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেই। তারপরও সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি গ্রাহক বেশি। উন্নত সেবার মানের কারণে তাই অনেক গ্রাহক বেসরকারি সেবাই গ্রহণ করছেন। যে কারণে বিটিসিএল কাঙ্খিত গ্রাহক টানতে পারছে না। সেবার মান বাড়িয়ে প্রচারণা বাড়ালে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক বাড়বে এবং সরকারও মোটা অংকের রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে মনে করেন তারা।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুরের বাসিন্দা সায়েম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিটিসিএলের গ্রাহক। আগে সেবার মান খুবই খারাপ ছিল। তবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার পর ভালো সার্ভিস পাচ্ছি। এই ধারাবাহিকতা থাকলে সরকারি এই সেবায় গ্রাহকরা ঝুঁকবেন।
শহরের তেঘরিয়ার বাসিন্দা মহসিন বলেন, বিটিসিএল সরকারি পুরনো প্রতিষ্ঠান। তাদের অনেক সক্ষমতা আছে। প্রচারণার অভাবে তারা উন্নত ব্যবস্থা থাকার পরও পর্যাপ্ত গ্রাহক পাচ্ছেনা। অথচ এই সেবা বাড়িয়ে সরকারি রাজস্ব আয়ের বড়ো সুযোগ রয়েছে। প্রচারণা বাড়ানোর সঙ্গে কর্মরতদের সেবার মান বৃদ্ধি ও ত্বরিৎ করতে হবে।
সুনামগঞ্জ বিটিসিএলের সহকারী ম্যানেজার কামরুল হক চৌধুরী বলেন, গিগাবিট অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক বা জিপন প্যাকেজে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহকরা সন্তুষ্ট। পুরো সুনামগঞ্জ পৌর শহরে আমরা অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপন করেছি। তবে প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ায় শহরের নবীনগর ও মধ্যবাজারে লাইন স্থাপন করা যায়নি। তিনি বলেন, আরো বেশি গ্রাহকের সেবা দেওয়ার সক্ষমতা আছে আমাদের। লোকবল সংকটসহ নানা কারণে আমরা পিছিয়ে থাকলেও প্রতিনিয়ত গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স