সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ , ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট” ১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ আজ রাষ্ট্রীয় শোক শহরে জামায়াতের প্রচার মিছিল রেমিট্যান্স যোদ্ধা থেকে সফল উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল মাদকসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মামলা! ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি : নাহিদ ইসলাম ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসন তোরণ থেকে আলফাত স্কয়ার শুরু হচ্ছে চার লেন সড়ক নির্মাণকাজ নতুন আঙ্গিকে ‘হোটেল নূরানী’র শুভ উদ্বোধন জনগণের সেবার দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে : অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সম্ভব-অসম্ভবে ভোটের প্রস্তুতি শাপলা প্রতীক কেউ পাবে না: বিবিসি বাংলাকে সিইসি

রক্তি নদীর আর্তনাদ : অবৈধ দখলেই কি তার মৃত্যু হবে?

  • আপলোড সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০৮:৫০:০১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০৮:৫০:০১ পূর্বাহ্ন
রক্তি নদীর আর্তনাদ : অবৈধ দখলেই কি তার মৃত্যু হবে?
সুনামগঞ্জ জেলার প্রাণপ্রবাহের অন্যতম রক্তি নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে। এক সময়ের প্রাণবন্ত নদীটি আজ দখলদারদের থাবায় ক্ষীণপ্রায়। নদীর তীরে গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা আজ এই জলধারাকে পরিণত করেছে সরু খালে। নদীর স্বাভাবিক প্রশস্ততা, গভীরতা এবং নাব্যতা হারিয়ে গেছে কেবলই অবৈধ দখলের ফলে। রক্তি নদীর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নিয়ামতপুর, ফিরোজপুর ও নলুয়ারপাড় এলাকায় বহু বছর ধরে গড়ে ওঠেছে অবৈধ বসতি, দোকানঘর এবং দালানকোঠা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এই দখল প্রক্রিয়া চলে আসছে প্রায় তিন দশক ধরে। নদীর তীরের সরকারি খাস জমিতে নির্মিত এসব স্থাপনা আজ গড়ে তুলেছে একটি বসতিপূর্ণ গ্রাম। খোদ দখলকারীরাও স্বীকার করছেন, তারা অবৈধভাবে বসতি গড়েছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নীরবতা কিংবা নিষ্ক্রিয়তা বিষয়টিকে আরও ভয়াবহ রূপ দিয়েছে। নদী দখলের প্রভাব শুধু নদীর ওপরই সীমাবদ্ধ নেই; হাওরের জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, কৃষিজমিতে পানির স্বাভাবিক বিস্তার ব্যাহত হচ্ছে, পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে এবং বর্ষায় জলাবদ্ধতা তীব্রতর হচ্ছে। নদীকে হত্যা করে নির্মিত এই বসতি কেবল আইন লঙ্ঘন নয়, প্রকৃতির ওপর সরাসরি এক নিষ্ঠুরতম আঘাত। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের মালিকানাধীন খাস জমি সাধারণ নাগরিকের দখলে থাকার কোনো সুযোগ নেই। নদী রক্ষা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, নদীর জমি দখল করা ফৌজদারি অপরাধ এবং আদালত নির্দেশেও দেশের অন্যত্র হাজার হাজার দখলদার উচ্ছেদ হয়েছে। তাহলে রক্তি নদীর ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে এই অব্যবস্থাপনা কেন? আমরা দেখতে পাচ্ছি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় বিষয়টি তার অজানা ছিল। ভূমি অফিস বিষয়টি স¤পর্কে অবহিত হলেও এখনো কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি। এটা প্রমাণ করে, সংশ্লিষ্টরা জেগেও ঘুমিয়ে আছেন। এখনই সময়, আর এক মুহূর্ত দেরি নয়। স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দখলদারদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যারা সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে বসতি গড়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের প্রয়োজন থাকলে তা আলাদা নীতিমালায় বিবেচনা করা যেতে পারে, তবে নদীর তীর অবৈধ দখলের দোহাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। আমরা মনে করি, রক্তি নদী শুধু পানি নয় - এটা জীবিকা, পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং অস্তিত্বের প্রতীক। এই নদীর মৃত্যু মানে একটি জনপদের বিপন্নতা। তাই এখনই সাহসিকতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে - নদীকে বাঁচাতে হলে দখলদারদের উচ্ছেদ করতেই হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা

সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা