সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের ‘অভিযোজন এক্সপো’ সম্পন্ন কাজের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুররা শহরমুখী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন! লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

সবচেয়ে বেশি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ

  • আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৮:৩৭:০২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৮:৪৭:০৬ পূর্বাহ্ন
সবচেয়ে বেশি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) এর ‘প্রাথমিক প্রতিবেদন ২০২৫’ এ তথ্য জানানো হয়। এ জরিপটি পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময়ে দেশব্যাপী সিপিএস এ জরিপ পরিচালনা করে। বিবিএস জরিপে বলা হয়, সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে দেখা যায় যে, গত ১ বছরে যেসব নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন মর্মে রিপোর্ট করেছেন, যেখানে পুরুষ ৩৮ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ। সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নাগরিকদের সর্বাধিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যথাক্রমে বিআরটিএ (৬৩ দশমিক ২৯ শতাংশ), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (৬১ দশমিক ৯৪ শতাংশ), পাসপোর্ট অফিস (৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ) ও ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস (৫৪ দশমিক ৯২ শতাংশ)। নিরাপত্তা বিষয়ে জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, ৮৪ দশমিক ৮১ শতাংশ নাগরিক সন্ধ্যার পর নিজ এলাকার আশপাশে একা চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন। তবে, পুরুষদের (৮৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ) তুলনায় নারীরা (৮০ দশমিক ৬৭ শতাংশ) কম নিরাপদ বোধ করেন। শহরাঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ (৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ) গ্রামীণ এলাকার নাগরিকদের তুলনায় কিছুটা কম (৮৫ দশমিক ৩০ শতাংশ) পরিলক্ষিত হয়। অপরদিকে সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধের হার ৯২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৯১ দশমিক ৮২ শতাংশ ও ৯৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। রাজনৈতিক প্রভাব বিষয়ের ক্ষেত্রে ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ নাগরিক মনে করেন যে, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সরকারের কর্মকাÐ সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে শহর (২৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ) ও গ্রাম (২৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ) এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য না থাকলেও, লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য রয়েছে যা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারীর ক্ষেত্রে ২৩ দশমিক ০২ শতাংশ। অনুরূপভাবে ২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ নাগরিক মনে করেন যে, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন মর্মে মত প্রকাশ করেন। এ হার নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ ও ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ৪৭ দশমিক ১২ শতাংশ নাগরিক গত ১ বছরের মধ্যে অন্তত ১ বার সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৭২ শতাংশ নাগরিকের মতে ওই স্বাস্থ্যসেবা সহজে প্রাপ্তিযোগ্য এবং স্বাস্থ্যসেবার খরচ সামর্থ্যরে মধ্যে ছিল মর্মে ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ নাগরিক মত প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মান, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ এবং ডাক্তার/স্বাস্থ্যকর্মীদের সময় দেয়ার বিষয়ে সেবা গ্রহণকারীদের সন্তুষ্টির হার যথাক্রমে ৬৫ দশমিক ০৭ শতাংশ, ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। শিক্ষা ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশ নাগরিকের কমপক্ষে একটি শিশু সরকারি প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। এরমধ্যে, ৯৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ নাগরিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহজে প্রবেশযোগ্য (যে কোনো ধরনের যানবাহনে বা পায়ে হেঁটে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছানো যায়) ও ৯২ দশমিক ৬৬ শতাংশ নাগরিক রিপোর্ট করেন যে শিক্ষাব্যয় সামর্থের মধ্যে ছিল, যেখানে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ ও ৮০দশমিক ৮৬ শতাংশ। অপরদিকে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান মানসম্মত ছিল মর্মে যথাক্রমে ৬৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও ৭১ দশমিক ৮৬ শতাংশ নাগরিক মত প্রকাশ করেন। অন্যান্য সরকারি সেবার (পরিচয়পত্র/নাগরিক নিবন্ধন) ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ১২ শতাংশ সেবার প্রাপ্যতা ও ৮৬ দশমিক ২৮ শতাংশ সেবাপ্রাপ্তি ব্যয় সামর্থের মধ্যে ছিল মর্মে উল্লেখ করেন। অপরদিকে, কার্যকর সেবাদান প্রক্রিয়া, সম-আচরণ, সময়মতো সেবাদানে সন্তুষ্টির হার যথাক্রমে ৬২ দশমিক ৬০ শতাংশ, ৫৬ দশমিক ২৬ শতাংশ ও ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ। সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে দেখা যায় যে, গত ১ বছরে যেসব নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন মর্মে রিপোর্ট করেছেন, যেখানে পুরুষ ৩৮ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ। সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নাগরিকদের সর্বাধিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যথাক্রমে বিআরটিএ (৬৩ দশমিক ২৯ শতাংশ), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (৬১ দশমিক ৯৪ শতাংশ), পাসপোর্ট অফিস (৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ) ও ভ‚মি রেজিস্ট্রি অফিস (৫৪ দশমিক ৯২ শতাংশ)। গত দুই বছরে ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ নাগরিক কোনো না কোনো বিবাদ বা বিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ নাগরিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ আনুষ্ঠানিক (যেমন: আদালত, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবং ৬৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক (যেমন: কমিউনিটি নেতা, আইনজীবী ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা পেয়েছেন। জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, গত ১ বছরে দেশের ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ জনগণ কোনো না কোনো ধরনের বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারীদের মধ্যে এই হার কিছুটা বেশি যা ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের মধ্যে তা ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শহরাঞ্চলে বৈষম্যের হার (২২ দশমিক ০১ শতাংশ) গ্রামাঞ্চলের (১৮ দশমিক ০৭ শতাংশ) তুলনায় বেশি। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থা (৬ দশমিক ৮২ শতাংশ) এবং লিঙ্গভেদে (৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ) বৈষম্য হয়রানির হার সর্বাধিক। নিজের পরিবারের মধ্যে (৪৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ), গণপরিবহন/উন্মুক্ত স্থানে (৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং কর্মস্থলে (২৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ) বৈষম্য/হয়রানির ঘটনা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এরমধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভুক্তভোগী এসব ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন বলেও জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স