সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ , ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী সবচেয়ে বেশি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুক ব্যবহারের ওপর কঠোর নজরদারি মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যা করেন বাবা, সহযোগিতা করেন মা বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উদযাপন হাওরের সম্পদ সৌন্দর্যে মরণকামড়, শূন্য হচ্ছে বিরল ভান্ডার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে হট্টগোল পুকুরে বিষ প্রয়োগে ২০ লক্ষ টাকার মাছ নিধন, থানায় মামলা দায়ের অটোরিকসা চাপায় শিশু নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর বাঁচাতে ৬ দাবি ছাতক সমাজসেবা কার্যালয়ে অগ্নিকান্ড কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বহিষ্কার, যুবদলের দুইজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ গভীর রাতে আটক পাউবো’র জিও ব্যাগ ভর্তি ট্রাক পেশাদার চোরচক্র সক্রিয়, মানুষজন আতঙ্কে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু ছাতকে ৫টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের দৌরাত্ম্যে বাড়ছে দুর্ঘটনা

রক্তি নদীর তীরে দখলদারদের থাবা, গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা

  • আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৮:১৮:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৮:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
রক্তি নদীর তীরে দখলদারদের থাবা, গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা ছবি: নদীর পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নিয়ামতপুর এলাকায় রক্তি নদীর তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় নদীর প্রশস্থতা কমে খালে পরিণত হয়েছে। তাই নদীটি বাঁচাতে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানান, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবৎ অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। নদীর দক্ষিণের তীর ক্রমান্বয়ে এই অবৈধ বসতিরা দখল করে আসছেন। অবৈধ স্থাপনা হিসাবে বসতঘর, ফসলি জমি রয়েছে। যার ফলে রক্তি নদী এখন খালে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ বসতিদের কারণে বর্ষায় হাওরের জমিতে পানির বিস্তৃতি ঘটতে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, রক্তি নদীর দক্ষিণ তীরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠায় এখন তা গ্রামে পরিণত হয়েছে। নদী সংকীর্ণ হয়েছে। নদীর নাব্যতা ও প্রশস্থতা হারিয়েছে। তাই দ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা সুফি মিয়া বলেন, নদী খনন করে গভীর ও প্রশস্থতা বাড়ানো হলে নৌযান চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না। এই জন্য আগে নদীর তীরের অবৈধ বসতিদের উচ্ছেদ করতে হবে। আলী আহসান বলেন, রক্তি নদীর তীরে সরকারি খাস জায়গায় এখন পাকা দালানকোঠা নির্মাণ হচ্ছে। অবৈধ বসতিরা মনে করেন এটা তাদের রেকর্ডিয় জায়গা। আমরা এই রক্তি নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানাই।
অবৈধ বসতি ময়না মিয়া বলেন, সকলে জায়গা দখল করে বসতভিটা গড়ে তোলেছে। তাই আমিও বসতভিটা ও দোকানপাট নির্মাণ করেছি। সরকার উচ্ছেদ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। অবৈধ বসতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রক্তি নদীর তীরজুড়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এই হিসাবে আমিও এক কেয়ার জায়গা দখল করে বসতভিটা করে আছি। আমার বাড়ি গৌরারং ইউনিয়নের নলুয়ারপাড় গ্রামে।
অবৈধ বসতি মোহাম্মদ ফাইজুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। আমি জানি এই জায়গা রক্তি নদীর তীরে অবস্থিত। এটা সরকারি খাস জায়গা। এটার শ্রেণী পরিবর্তন না করলে আমরা বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করতে পারছি না। আমার বাড়ি গৌরারং ইউনিয়নের ফিরোজপুর গ্রামে। এছাড়াও সন্তোষ রায়ের একাধিক পাকা দোকানঘর ও টিপু মিয়ার দোকানঘর রয়েছে।
পৈন্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার শম্পা দাস বলেন, রক্তি নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেব।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা জেরিন বলেন, আমি নতুন এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। এখন বিষয়টি জেনেছি। তাই সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা নেবো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স