সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের ‘অভিযোজন এক্সপো’ সম্পন্ন কাজের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুররা শহরমুখী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন! লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

জামালগঞ্জে ‘মনগড়া’ বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক

  • আপলোড সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ১০:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ১০:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
জামালগঞ্জে ‘মনগড়া’ বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক
স্টাফ রিপোর্টার :: জামালগঞ্জে মিটার না দেখে আন্দাজে আদায় করা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। শত শত গ্রাহকের এনিয়ে অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসে মিটার রিডার গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার কথা। কিন্তু গ্রাহকরা জানান, মিটার রিডার গ্রাহকের কাছে না গিয়ে অফিসে বসে ইচ্ছে মতো বিল তৈরি করে তা গ্রাহকের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। জুন/২০২৫ইং জামালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এইসব ছোট ছোটও বিলের কাগজ যাচাই করে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে। মিটার রিডিংয়ের সাথে বিলের কাগজের বাস্তবে কোনো মিল নেই। এভাবে বিদ্যুৎ বিল মেটাতে প্রতি মাসে বর্ধিত হারে অতিরিক্ত টাকা গুণছেন অনেক গ্রাহক। অভিযোগকারী মাতারগাঁও গ্রামের গ্রাহকের মিটার নং-০০০৫--১৩৯৬৬৩। তিনি জানান, তার মে মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে এসেছে জুন মাসের ১৬ তারিখ। বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ১৯জুন। অথচ এই বিদ্যুৎ বিলের রেকর্ড দেখানো হয়েছে ২৬ মে ২০২৫ ইং পর্যন্ত। প্রায় ২২দিন আগে মনগড়া তৈরি বিল রেকর্ড তথ্যে ২৬ মে পর্যন্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ দেখানো হয়েছে টোটাল (৪৩৮০কি.ওয়াট ঘণ্টা) ৫০ ইউনিট। কিন্তু এই রিপোর্ট (১৭ জুন) লিখা পর্যন্ত বাস্তবে ঐ গ্রাহকের মিটারে রীডিং ৪৩৩৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা চলছে। চলতি জুন মাসেও ওই গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল ৪৩৮০ কিলোওয়াট হবে না। এই গ্রামে শতাধিক পরিবারেও একই সমস্যা। প্রতিটি গ্রাহকের ছোট ছোট বিদ্যুৎ বিলে পিলে চমকানো অসঙ্গতি রয়েছে। গ্রাহকরা না বুঝেই বিল পরিশোধ করছেন। গ্রাম পর্যায়ের গ্রাহক মিজানুর, নুর ইসলাম, অবিদ হোসেন বলছেন, বিদ্যুৎ বিলের এতো প্যাচাইনা লেখা আমরা বুঝি না। গ্রাহক যদি না-ই বুঝে তবে এইসব লিখার দরকার কি? বিলের লেখাও অস্পষ্ট এবং দুর্বোধ্য। গ্রাহক বিলের কাগজে এসব লেখার আগামাথা কিছুই বুঝে না। জানা গেছে, গত বৈশাখ মাস থেকে মিটার রিডারের দেখা নাই। তাদের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে পরবর্তী কার্তিক মাস পর্যন্ত ছয় মাস মিটার রিডার গ্রামে যান না। জামালগঞ্জ সদর থেকে দূরবর্তী এলাকায় মিটার রিডিং না করে ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেন। এভাবেই প্রতি মাসে হাজারো গ্রাহককে ঠকানো হচ্ছে। মনগড়া অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল বানিয়ে অতিরিক্ত হারে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি জামালগঞ্জ শাখার এজিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ইউনিট বেশি হলে সেটি আমরা দেখবো। আর ২০/৫০ ইউনিটের মধ্যে ঝামেলা হলে সেটি ব্যবহারের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। বিল নিয়ে আসলে সংশোধন করে দেবো। আর যদি বিল না দেন তবে এই রকম একটা লিখিত দেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স