‘জুলাই-যোদ্ধা’ ভুয়া প্রমাণিত হলে দুই বছরের জেল
- আপলোড সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ০৯:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ০৯:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই-যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে মঙ্গলবার (১৭ জুন) জারি করা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে বলা হয়, কেউ যদি তথ্য গোপন করে নিজেকে ‘জুলাই-যোদ্ধা’ দাবি করেন এবং তা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়, তবে তিনি দুই বছরের কারাদ- এবং অর্থদ-ে দ-িত হবেন।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সে সময়কার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী বা তৎকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আক্রমণে আহত ছাত্রজনতা ‘জুলাই-যোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত হবেন। তাদের কল্যাণ, পুনর্বাসন এবং ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই-যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের মর্ম ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রণীত অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, কেউ যদি তথ্য গোপন করে বা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আর্থিক সহায়তা, কিংবা পুনর্বাসনের সুবিধা দাবি, কিংবা গ্রহণ করে - তাহলে এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
অধ্যাদেশে বলা আরও হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, বা যেকোনও শ্রেণির আহত ‘জুলাই-যোদ্ধা’ না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, বা জ্ঞাতসারে কোনও মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করে, বা বিভ্রান্তিকর কাগজাপত্র দাখিল করে, নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, বা আহত ‘জুলাই- যোদ্ধাৎ দাবি করে এই অধ্যাদেশ বা তদ্ধীন প্রণীত বিধি বা আদেশ বা নির্দেশের অধীনে কোনও চিকিৎসা সুবিধা, বা আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসন সুবিধা দাবি করেন বা গ্রহণ করেন- তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য করা হবে। এতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বর্ণিত অপরাধ সংঘটন করলে, তিনি অনধিক ২ বছরের কারাদ- এবং অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদ- বা গৃহীত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদ-ে দ-িত হবেন। তবে এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ