স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে সাইমুম হাসান রনি (২৭) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টায় গ্রামের শাহাবুদ্দিনের বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। নিহত সাইমুম হাসান রনি সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের গুদারগাঁও গ্রামের মৃত সমুজ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাইজবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ইকবাল হোসেনকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়ার একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই বাড়ির বাসিন্দা ইকবাল হোসেন গভীর রাতে টিন কাটার শব্দ শুনে ঘরের দরজার কাছে গিয়ে দেখেন, এক ব্যক্তি দরজা খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। সন্দেহবশত ঘরে থাকা দা নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন বাড়ির ওই বাসিন্দা। দরজা ফাঁক করে যখন ওই ব্যক্তি ভিতরে হাত ঢোকায় তখন ইকবাল ওই লোকের হাতে দা দিয়ে কোপ দেন। এরপর লোকটি পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা বাড়ির আশেপাশে চোরের সন্ধান চালালে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে শনিবার ভোরে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়ার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির উঠান থেকে রনি নামের যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। যার হাতে ধারালো অস্ত্রের কাটা জখম দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় নিহত ওই যুবক রাতে বিয়ে বাড়িতে চুরি করার চেষ্টাকালে আহত হন এবং পরবর্তিতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাতের কোনো এক সময় মৃত্যু হয় তার। তবে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইকবাল হোসেন নামের ওই বাড়ির বাসিন্দাকে আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। অপরদিকে নিহতের পরিবার দাবি করেছে, ঘটনাটি একটি অপরিকল্পিত হত্যাকা-। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। নিহত সাইমুনের বোন হুসনা বেগম বলেন, আমার ভাই পেশায় একজন অটোরিকসা চালক। সে কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। আমার ভাই চোর আমরা বিশ্বাস করি না। আমার ভাইকে কেউ না কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে কাজ করছে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা একজনকে পুলিশ হেফাজতে রেখেছি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাকির হোসাইন বলেন, মাইজবাড়ি এলাকা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, চুরির সময় দা দিয়ে কোপ দেওয়ার পর ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইকবাল হোসেন নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
উঠানে পড়েছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ : আটক ১
- আপলোড সময় : ১৫-০৬-২০২৫ ১২:০৭:১১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-০৬-২০২৫ ১২:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ