সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫ , ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান ট্র্যাজেডি নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ তাহিরপুরে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ হাওরে দেশি মাছের আকাল, বিপন্ন বহু প্রজাতি বালুর স্তূপে কাঁদছিল নবজাতক, মায়ের মমতায় কোলে তুলেন হাসিনা দিরাই পৌর বিএনপির ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন সুদের চাপ সইতে না পেরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জমিয়তের প্রার্থী মুফতি লুৎফুর রহমান নুরুল্লা গ্রামে ৩ জনের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত : পাইলটসহ নিহত ২০, আহত ১৭১ বিমানটি ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিতে চেয়েছিলেন পাইলট শান্তিগঞ্জে গাছের চারা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ জগন্নাথপুর পৌরসভার বাজেট ঘোষণা জগন্নাথপুরে নকল প্যাকেটে নিম্নমানের মসলা ও কেমিক্যালযুক্ত খেজুর গুড় বিক্রি পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সড়কবিহীন কমিউনিটি ক্লিনিক, দুর্ভোগে মানুষ সুনামগঞ্জ বিএনপিতে ফাটল, ১৮ ইউনিটে পাল্টা কমিটি দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ বিশ্বম্ভরপুরে নারীর লাশ উদ্ধার দুই যুগ আগের ঝুলে থাকা ১০ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করবে হাইকোর্ট পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯১০০ মামলা

চোরাচালান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ০৫-০৬-২০২৫ ১২:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৬-২০২৫ ১২:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন
চোরাচালান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মধ্যনগর, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ সদর এবং ছাতক উপজেলার সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে ভারত থেকে গরু-মহিষসহ নানা অবৈধ পণ্য প্রবেশ করছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও ভারতে পাচার হচ্ছে মাছ, শুঁটকি, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য। সীমান্তবাসীদের বক্তব্য, এই অবৈধ কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও কার্যকর ব্যবস্থা অনুপস্থিত। সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে ৪৬৫টি গরু আটক করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই পরিমাণের বহু গুণ বেশি গরু সীমান্ত পেরিয়ে আসে এবং স্থানীয় হাটের অসাধু ইজারাদারদের সহায়তায় ‘হাসিল’ দিয়ে বৈধতা লাভ করে। ফলে একদিকে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এ চোরাচালান শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়েরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্তের যুবসমাজ এক শ্রেণির চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। অপরাধমূলক কর্মকা-ে সম্পৃক্ততা বাড়ছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো প্রতিরোধ দেখা যাচ্ছে না। সীমান্তের নিরাপত্তা বাহিনী বিজিবি অভিযানের কথা বললেও, স্থানীয়দের অভিযোগ- এই নজরদারি যথেষ্ট নয়। প্রশ্ন জাগে, কোথায় ব্যর্থতা? বিজিবি, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন - তিনটি স্তর থাকা সত্ত্বেও কীভাবে রাতের অন্ধকারে গরু ও পণ্য সীমান্ত পাড়ি দেয়? হাট ইজারাদারদের স্বেচ্ছাচারিতা বা দুর্নীতি কিভাবে চলে? আমরা মনে করি, চোরাচালান বন্ধে কেবল অভিযান নয়, প্রয়োজন সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত কৌশল, হাট ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে তথ্যভিত্তিক নজরদারি। পাশাপাশি, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। এ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, রাজস্ব আদায়, স্থানীয় অর্থনীতি এবং যুব সমাজের ভবিষ্যৎ রক্ষায় চোরাচালান প্রতিরোধ কোনো বিকল্প নয়। সরকারকে এই বিষয়ে দৃঢ়, টেকসই ও শূন্য-সহিষ্ণু নীতি গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ধীরে ধীরে অপরাধপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত হবে - যার খেসারত দিতে হবে পুরো জাতিকে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স