নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
- আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়ে তাদের নির্বাচনি প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
রবিবার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।
এই রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে বলেন, ১২ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো, নিবন্ধন ফিরে পেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এখন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে নির্বাচন করতে পারবেন, আর কোনো বাঁধা রইল না।
এর আগে গত ১৪ মে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন রবিবার দিন ঠিক করা হয়।
জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করেন।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে এ দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। তাতে সম্মতি দিয়ে গত বছর ২৪ আগস্ট আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। তাতে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আইনি লড়াইয়ের পথ খোলে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জাময়াতের আবেদনে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়। নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকারও ফিরে পাচ্ছে ২০০১-০৬ সময়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারে থাকা দলটি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ