সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

দুর্যোগে আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকতে হবে

  • আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৫ ১২:৩৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৬-২০২৫ ১২:৩৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
দুর্যোগে আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকতে হবে
প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বন্যা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষত সুনামগঞ্জ, সিলেট ও আশপাশের হাওর অঞ্চল বরাবরই বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। তবে প্রাকৃতিক এই বাস্তবতা আমাদের আতঙ্কিত না করে সচেতন ও প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানায়। সাম্প্রতিক খবরে দেখা যাচ্ছে, মেঘালয়ে টানা ভারী বর্ষণের কারণে সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানির স্তর বাড়লেও, হাওরগুলোতে এখনো কাক্সিক্ষত পরিমাণে পানি প্রবেশ করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই। তবুও অতীত অভিজ্ঞতা বলে দেয়, হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢল নামলে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যেতে পারে। তাই আতঙ্ক নয়, চাই বাস্তবভিত্তিক প্রস্তুতি ও সর্বোচ্চ সতর্কতা। এই প্রেক্ষাপটে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হওয়া দরকার- প্রথমত, তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। আবহাওয়া বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যকার তথ্য বিনিময় ও সমন্বয় আরও জোরদার করতে হবে। বন্যা-পূর্বাভাস, নদীর পানির উচ্চতা, পাহাড়ি অঞ্চলের বৃষ্টিপাত ইত্যাদি তথ্য প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করে জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় জনগণের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণই প্রথম প্রতিরক্ষা। স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, খাদ্য ও ওষুধ মজুদ, শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তৃতীয়ত, নগর ও গ্রামীণ অবকাঠামোর টেকসই রক্ষণাবেক্ষণ অপরিহার্য। ফসলরক্ষা বাঁধ, সড়ক, কালভার্টসহ সবকিছু সময়মতো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারলে পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হতে পারে। চতুর্থত, সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ চালু রাখা জরুরি। আতঙ্ক ছড়ানো নয়, বরং মানুষকে গুজব থেকে দূরে রেখে বাস্তবসম্মত তথ্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়া জরুরি। আমরা জানি, প্রকৃতিকে পুরোপুরি থামানো যায় না, কিন্তু এর প্রভাবকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সঠিক প্রস্তুতি, দ্রুত পদক্ষেপ এবং দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে। তাই আসুন, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ভয় নয়, বরং প্রস্তুতি ও সচেতনতার হাতিয়ার দিয়ে মোকাবিলা করি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স