স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আয়োজনে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টাব্যাপী সম্মেলন কক্ষে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন।
পরে প্রধান অতিথির অনুমতিক্রমে শুরু হয় উন্মুক্ত আলোচনা। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. অতনু ভট্টাচার্য, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. মল্লিক মো. মঈন উদ্দিন সোহেল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মো. আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, কোর্ট ইন্সপেক্টর আকবর হোসেন প্রমুখ। সভার শুরুতে বক্তারা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ এবং দ্রুত বিচার নি®পত্তির ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিচার বিভাগের মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন। সভায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ার গতিশীলতা আনয়নের উপর জোর দেওয়া হয়। আলোচনায় উঠে আসে, বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় কিভাবে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটগণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশেষ করে, বিচারাধীন মামলার জট কমানো, সাক্ষী হাজিরার প্রক্রিয়া সহজ করা, মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি লাঘবে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে বিশদ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া বিজিবির কোন সদস্য কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা কোন মালামাল বা অন্য কোন কিছু আটক করলে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে বা আটককৃত মালামাল বা অন্য কোন কিছু- সীমান্ত এলাকায় উক্ত গ্রেফতার বা আটকের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট আইনে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ এবং উক্ত আইনে এইরূপ কোন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত না থাকলে, নিকটবর্তী থানা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে সোপর্দ করবেন; এবং বিধি অনুসারে বাহিনীর এখতিয়ারভুক্ত অন্য কোন এলাকায় উক্ত গ্রেফতার বা আটকের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট আইনে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ এবং উক্ত আইনে এইরূপ কোন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত না থােিল, উক্ত গ্রেফতারের স্থান বা আটক স্থানের উপর এখতিয়ার সম্পন্ন থানা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে সোপর্দ করবেন মর্মে বিজিবিকে নির্দেশনা দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন। সম্মেলনে উপস্থিত সকলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই ধরনের সম্মেলন পুলিশ ও বিচার বিভাগের মধ্যে একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন তৈরি করবে, যা ভবিষ্যতে জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে আরও জনবান্ধব করে তুলতে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এসময় ওসি ডিবি মোহাম্মদ আহমদ উল্যা ভূঁইয়া, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ, বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- আপলোড সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ১১:৩৮:১৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ১১:৫১:০০ অপরাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ