সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের ‘অভিযোজন এক্সপো’ সম্পন্ন কাজের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুররা শহরমুখী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন! লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

ভারী বর্ষণ ও ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বড় বন্যার আশঙ্কা নেই

  • আপলোড সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ১২:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ১২:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন
ভারী বর্ষণ ও ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বড় বন্যার আশঙ্কা নেই
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার নদ-নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে। আগামী তিন দিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বৃহ¯পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৭১ মিলিমিটার। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি হচ্ছে, তবে সেটি স্বাভাবিক মাত্রায়। মূলত চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হলে ভাটির সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল নামে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৫ দশমিক ৮৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ১৯২ সেন্টিমিটার নিচে। বর্ষা মৌসুমে এখানে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার। এ ছাড়া জেলার পাটলাই, কুশিয়ারা, নলজুর, চেলা, চলতি, যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, খাসিয়ামারাসহ সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। পানি বাড়লেও সুনামগঞ্জে আপাতত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, পানি বাড়বে। তবে বড় কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই। নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদে বন্যা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা জানান, পাহাড়ি ঢল নেমে প্রথমেই ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বন্যা কবলিত হয়। এবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এই পাঁচ উপজেলার নদ-নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে। তবে হাওরে এখনো পানি কম থাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা কম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখন হাওরে কোনো ধান নেই। ধান কাটা শেষ। তাই বন্যা হলেও ধানের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে সীমান্তবর্তী উঁচু এলাকায় সবজির চাষ করা হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও ঢলের পানিতে সেগুলোর ক্ষতির আশঙ্কা আছে। বন্যায় সড়ক প্লাবিত হলে গ্রামাঞ্চলের লোকজন যাতায়াতে বিড়ম্বনায় পড়েন। আবার গবাদিপশু নিয়ে ভোগান্তি বেড়েছে। সদর উপজেলার সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আকরাম উদ্দিন বলেন, তাদের এলাকায় সবজি হয় বেশি। পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সবজির ক্ষতি হয় বেশি। একই সঙ্গে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই মৌসুমি গবাদিপশু পালন করেন। বন্যা হলে তারা ভোগান্তিতে পড়েন বেশি। এদিকে, সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১৫ মে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি তাদের দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে সেখানে যোগাযোগ করতে নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে। পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জে আগামী তিন দিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হবে। এই মৌসুমে এমন বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। বৃষ্টি হবে, পানি বাড়বে এটাও স্বাভাবিক। তাই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, টানা বৃষ্টিপাতে দেশের প্রায় সব জায়গায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ৬৭টি পর্যবেক্ষণকারী নদ-নদীর ৫০টিতেই পানি বেড়েছে। এসব নদ-নদীর যে ১১৬টি পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তার মধ্যে ৮৯টিতেই পানি বেড়েছে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি শুক্রবার ও শনিবার বাড়তে পারে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী ইত্যাদি নদীর পানি বাড়তে পারে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স