সুনামগঞ্জ , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি ডিজেলের দাম কমল লিটারে ২ টাকা, পেট্রল-অকটেনে ৩ টাকা দোয়ারায় বজ্রপাতে মারা গেলো তিন গরু রুট পাল্টে নৌপথে সক্রিয় চোরাকারবারিরা প্রশাসনের জব্দকৃত বালুভর্তি বাল্কহেড উধাও! তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় হাওরে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দাবি নারীনেত্রী দিপালী চক্রবর্তী’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ভারী বর্ষণ ও ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বড় বন্যার আশঙ্কা নেই সাবেক প্রেমিকাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের পর আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার রঙ্গারচরে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণ জেলা প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ : সবুজের সন্ধানে নতুন যাত্রা দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান গণতন্ত্র পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া তাহিরপুরের ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই জনবল সংকট, চরম ভোগান্তিতে মানুষ সুনামগঞ্জসহ ৬ জেলায় বন্যার শঙ্কা

ওয়ার্ড পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু এখন সময়ের দাবি

  • আপলোড সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১২:১২:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১২:১২:৪২ পূর্বাহ্ন
ওয়ার্ড পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু এখন সময়ের দাবি
সুনামগঞ্জসহ দেশের হাওর অঞ্চলে এবছর বাম্পার বোরো ধানের উৎপাদন আমাদের কৃষি খাতের সম্ভাবনাকে আবারও প্রমাণ করেছে। প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি ধান উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষকের স্বাবলম্বী হওয়ার আশাব্যঞ্জক বার্তা মিললেও দুঃখজনকভাবে সেই সুফল কৃষকের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না। প্রধান কারণ- সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে হাওরের দুর্গম এলাকার কৃষকদের যাতায়াত বিড়ম্বনা, অতিরিক্ত পরিবহন খরচ ও সীমিত সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা। ফলে বাজারে ন্যায্য দাম না পেয়ে এবং গুদামে দিতে উৎসাহ হারিয়ে অনেক কৃষক বাধ্য হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে ধান বিক্রি করতে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী দাবি হলো- ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা। হাওর অঞ্চলের বাস্তবতা হলো- সড়ক ব্যবস্থা দুর্বল, অনেক এলাকা বছরের দীর্ঘ সময় জলমগ্ন থাকে, যা থেকে নৌকা, ট্রলি বা শ্রমিক খরচ বেড়ে যায়। গড়ে প্রতি মণে পরিবহন ব্যয় দাঁড়ায় ২০০ টাকার মতো, যা সরকার নির্ধারিত মূল্য (মণপ্রতি ১,৪৪০ টাকা) থেকে কৃষকের লাভ কমিয়ে দেয়। যদি সরকার ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়েই ধান সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে, তাহলে- কৃষকের ধান ঘর থেকেই সংগ্রহ সম্ভব হবে, পরিবহন খরচ বাঁচবে, সংগ্রহ কার্যক্রম গতিশীল হবে, সরকার নির্ধারিত গুণগতমান বজায় রেখেও সহজে ধান মজুদ করা সম্ভব হবে। বহু কৃষক ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, যদি ঘরের কাছাকাছি ধান দেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে তারা সরকারি গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হবেন। এছাড়া বেসরকারি দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যও এভাবে রোধ করা সম্ভব। সরকার যে ‘কৃষিবান্ধব’ নীতির কথা বলে থাকে, তা বাস্তবে রূপ দিতে হলে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ চালুর মতো বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। শুধু মন্ত্রণালয় বা জেলা শহরে বসে সিদ্ধান্ত নিলেই হবে না - কৃষকের মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই গঠন করতে হবে কার্যকর সংগ্রহ নীতি। আমরা মনে করি, একজন কৃষকের ঘামে ভেজা ধানের প্রতি সম্মান জানাতে হলে, তার ধান কেনার পথকে সহজ করতে হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ধান সংগ্রহ কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক হাওরের কৃষকের প্রাপ্য ন্যায্যতার প্রথম ধাপ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত