সুনামগঞ্জ , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি ডিজেলের দাম কমল লিটারে ২ টাকা, পেট্রল-অকটেনে ৩ টাকা দোয়ারায় বজ্রপাতে মারা গেলো তিন গরু রুট পাল্টে নৌপথে সক্রিয় চোরাকারবারিরা প্রশাসনের জব্দকৃত বালুভর্তি বাল্কহেড উধাও! তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় হাওরে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দাবি নারীনেত্রী দিপালী চক্রবর্তী’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ভারী বর্ষণ ও ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বড় বন্যার আশঙ্কা নেই সাবেক প্রেমিকাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের পর আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার রঙ্গারচরে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণ জেলা প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ : সবুজের সন্ধানে নতুন যাত্রা দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান গণতন্ত্র পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া তাহিরপুরের ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই জনবল সংকট, চরম ভোগান্তিতে মানুষ সুনামগঞ্জসহ ৬ জেলায় বন্যার শঙ্কা

জাতীয় সংগীতে বাধা : চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

  • আপলোড সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন
জাতীয় সংগীতে বাধা : চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
জাতীয় সংগীত একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক। এটি শুধু একটি সুর বা কবিতা নয়, বরং একটি জাতির চেতনা, আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামের প্রতিধ্বনি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ যেন এক একটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত প্রতিজ্ঞা, যে প্রতিজ্ঞা ছিল একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। সম্প্রতি শাহবাগে আয়োজিত একটি গণজমায়েতে ছাত্রনেতাদের জাতীয় সংগীত গাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার যে ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তা উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে সমস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন- এটি শুধু একটি সংগীত পরিবেশনা নয়, বরং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক ও নৈতিক বার্তা। জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা কোনো দল বা গোষ্ঠীর সম্পত্তি নয়। এগুলো গোটা জাতির, প্রতিটি নাগরিকের গর্বের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় যে কেউ যখনই এই প্রতীকগুলোকে ব্যবহার করবে, তা কখনোই দমনযোগ্য নয়। বরং, এসব ক্ষেত্রে বাধা প্রদান নিজেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এই প্রেক্ষাপটে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ কর্মসূচি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, জাতির ইতিহাসকে বিকৃত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে নতুন প্রজন্ম। বিশেষ করে, যখন ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর মতো নানা রাজনৈতিক মতের সংগঠন একত্রে দাঁড়ায়, তখন তা কেবল একটি সংগীত পরিবেশন নয় - একটি ঐক্যের ঘোষণা। সরকার ও প্রশাসনের উচিত, জাতীয় প্রতীক ব্যবহারে এমন বাধা সৃষ্টি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। জাতীয় সংগীত গাওয়া সেই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। সবশেষে বলা প্রয়োজন, জাতীয় প্রতীকগুলোকে রক্ষা করা শুধু এক পক্ষের দায়িত্ব নয়, এটি পুরো জাতির নৈতিক দায়িত্ব। আজ যারা জাতীয় সংগীতে বাধা দেন, কাল তারা ইতিহাসকে অস্বীকার করবেন। এই পথ রুদ্ধ করতে হলে আমাদের সবাইকে - ছাত্র, শিক্ষক, নাগরিক - একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস ও চেতনার ওপর আঘাত সহ্য করার সময় এখন আর নেই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত