সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নতুনপাড়ায় নির্মম হত্যাকান্ড

ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

  • আপলোড সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০১:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০১:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়ায় মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে মো. আল-মুবিন (৫৫) নামের এক প্রতিবেশী খুন হয়েছেন - এটা শুধু একটি অপরাধের খবর নয়, বরং আমাদের সমাজের মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি। আল-মুবিন একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি হৃদয় বণিককে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাতলামি করতে দেখে বাধা দেন, যা ছিলো ন্যায্য, দায়িত্বশীল এবং সামাজিকভাবে প্রশংসনীয়। অথচ তার এই প্রতিবাদই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এই হত্যাকা- প্রমাণ করে, আজ প্রতিবাদ করা মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে গেছে - কারণ সমাজের একাংশ হয়ে উঠেছে সহিংস, বেপরোয়া এবং আইন-শৃঙ্খলা বর্জিত। ঘাতক হৃদয় বণিকের বিরুদ্ধে আগেই স্থানীয়দের অসন্তোষ ছিল- প্রতিদিনের মাদকসেবন, গালিগালাজ, নির্মাণাধীন ভবনে আসর বসানো, সবই জানতো এলাকাবাসী। তবু কেন তার বিরুদ্ধে আগে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? প্রশাসন এবং সমাজ উভয়ের দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এই ঘটনা কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আনে: ১. মাদকাসক্ত এক ব্যক্তি দিনের পর দিন কিভাবে এলাকায় এমন নির্লজ্জ আচরণ করতে পারে? ২. পরিবার, সমাজ এবং প্রশাসন - তিনটি স্তরের প্রতিরোধ কোথায় ছিল? ৩. একজন প্রতিবাদী নাগরিককে রক্ষা করতে না পারলে কীভাবে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো? পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানে ঘাতককে আটকের ঘটনা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে মাদকবিরোধী অভিযানকে শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি সমাজে যে রকম সহিংসতার বীজ বপন হচ্ছে - তা প্রতিরোধে স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিক সচেতনতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা এবং পারিবারিক বন্ধন জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ