সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

৭ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ : উদাসীনতার চিত্র স্পষ্ট

  • আপলোড সময় : ০৭-০৫-২০২৫ ০৭:২৭:০৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৫-২০২৫ ০৭:২৭:০৯ পূর্বাহ্ন
৭ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ : উদাসীনতার চিত্র স্পষ্ট
তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীর ওপর নির্মাণাধীন শাহ আরেফিন (র.) ও অদ্বৈত মহাপ্রভু মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ দীর্ঘ সাত বছরেও শেষ হয়নি। এ বিষয়ে দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একটি সেতুর নির্মাণে এতো দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়া কেবল প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যর্থতা নয়, এটি সরকারি দপ্তরগুলোর চরম উদাসীনতা, পরিকল্পনার অভাব এবং জনদুর্ভোগের প্রতি অবহেলার প্রমাণ। এই সেতুটি যদি সময়মতো নির্মিত হতো, তবে তা স্থানীয় জনগণের যাতায়াত, কৃষি, শিক্ষা এবং চিকিৎসাসেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কাজ অস¤পূর্ণ থাকায় জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে এই দীর্ঘসূত্রিতা সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার চিত্রকে স্পষ্টভাবে সামনে এনে দেয়। প্রকল্পের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩০ মাসে এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ সাত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও তা স¤পন্ন হয়নি - এটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহির অভাবকেই তুলে ধরে। উন্নয়নের প্রকৃত সফলতা নির্ভর করে যথাযথ পরিকল্পনা ও সময়মতো বাস্তবায়নের ওপর। বাজেট বরাদ্দ করলেই কাজ শেষ হয় না, দায়িত্বশীলদের তদারকি ও অঙ্গীকার ছাড়া উন্নয়ন জনগণের কাছে পরিহাসে পরিণত হয়। তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি ও বিন্নাকুলি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যাদুকাটা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে আশেপাশের চারটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ সহজতর হতো, তিনটি শুল্ক বন্দর ও পর্যটন স্পটগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতো। তাছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-পারাপারের বদলে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত হতো। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালোভাবে আহ্বান জানাই- অবিলম্বে প্রকল্পটির প্রতি নজরদারি বাড়ানো হোক এবং দ্রুত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হোক। পাশাপাশি, কাজে গাফিলতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। উন্নয়নের নামে বিলম্বের এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমরা দাবি জানাই- শীঘ্রই যেন এই সেতু চালু করে সাধারণ মানুষের জন্য তা ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ