সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল মাদকসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মামলা! ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি : নাহিদ ইসলাম ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসন তোরণ থেকে আলফাত স্কয়ার শুরু হচ্ছে চার লেন সড়ক নির্মাণকাজ নতুন আঙ্গিকে ‘হোটেল নূরানী’র শুভ উদ্বোধন জনগণের সেবার দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে : অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সম্ভব-অসম্ভবে ভোটের প্রস্তুতি শাপলা প্রতীক কেউ পাবে না: বিবিসি বাংলাকে সিইসি সুনামগঞ্জে এনসিপি’র নেতৃত্বে সাজাউর রাজা সুমন এনসিপি’র কমিটিতে নাম আসা হারুনুর রশিদ বললেন- “তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত” পাসপোর্ট ইস্যু বেড়েছে চার গুণ শহর যানজটমুক্ত করতে ১৬ জুলাই থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : জেলা প্রশাসক একটি মাত্র সেতুর অভাবে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ পাঁচ গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে : ট্রাইব্যুনাল ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি, স্পষ্ট হচ্ছে অদৃশ্য শত্রু : তারেক রহমান চার উপজেলায় এসিল্যান্ড নেই, দুর্ভোগে সেবাপ্রত্যাশীরা শহরের খাল উদ্ধারে ফের শুরু হচ্ছে অভিযান

অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কারের জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে : ইইউ রাষ্ট্রদূত

  • আপলোড সময় : ০৬-০৫-২০২৫ ০৭:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৫-২০২৫ ০৭:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন
অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কারের জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে : ইইউ রাষ্ট্রদূত
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: রাজনৈতিক রূপান্তর বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার কাজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে বলে মনে করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ইইউ মনে করে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপান্তর বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে এবং আমরা নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনও চাপ দিচ্ছি না। আমরা মনে করি, সংস্কার কাজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। এর জন্য ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিটি কাজ করছে এবং দেখা যাক, কতটুকু ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের রিপোর্টকে সমর্থন করি। তাদের রিপোর্ট অত্যন্ত পরিষ্কার। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে- বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা। এখানে দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। তবে তিনি বলেন, দায়বদ্ধতার প্রক্রিয়া যেন অত্যন্ত স্বচ্ছ হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে মিলার বলেন, এই রূপান্তরের সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। একইসঙ্গে তারা তাদের সমর্থন বাড়াতে চাইছে, যাতে নির্বাচনের সময়ে সুবিধা পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায়, সেটি আমরা চিহ্নিত করার জন্য কাজ করছি। সামনের নির্বাচন রাজনৈতিক রূপান্তরে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে। যখন নির্বাচন হবে তখন আমরা এই প্রক্রিয়ায় অংশীদার হতে চাই। ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ব্রাসেলস সফর করে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। অন্যান্য দলও ইইউ’র রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে বলে তিনি জানান। রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে মাইকেল মিলার বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা মিলিটারি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। আমরা ২০১৭ থেকে ৫০ কোটি ইউরোর মতো সহায়তা দিয়েছি। এখন সহায়তার পরিমাণ কমে আসছে এবং এ জন্য আমরা রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করতে চাইছি। মানবিক করিডোরের বিষয়ে তিনি বলেন, উদ্বাস্তুরা যে দেশেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের সহায়তা করতে পারলে খুশি হবো। যদি সীমান্তের ওপারে থাকে, তবে তাদের সহায়তা করার জন্য আমাদের একটি চ্যানেল লাগবে। বাংলাদেশ থেকে ইইউ’র দেশগুলোতে অর্থপাচার হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থপাচারের ক্ষেত্রে ইইউ কাজ করবে না, বরং সদস্য দেশগুলোর বিচার বিভাগ কাজ করবে। সদস্য দেশগুলোর বিচার বিভাগকে প্রমাণাদি দিতে হবে অপরাধ স¤পর্কে এবং তারা সেগুলো বিবেচনা করবে। তবে, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কয়েক বছর লেগে যায়। বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হবে মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার জীবদ্দশায় ইউরোপের প্রায় অর্ধেক দেশ কর্তৃত্ববাদ থেকে গণতন্ত্রের পথে এসেছে এবং এই কাজটি বাংলাদেশ এখন করছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং সুশীল সমাজকে গুরুত্ব দেওয়া। আমরা চাই, বাংলাদেশ তার অর্থনীতি উন্মুক্ত করুক - যাতে ইউরোপের কোম্পানিগুলো এখানে ব্যবসা করতে পারে। পানি, ডিজিটাল, পরিবহন, জ্বালানি, অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতে ইউরোপের কো¤পানিগুলো আগ্রহী বলে তিনি জানান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল