সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
পূর্ব ইব্রাহীমপুরে নদী ভাঙন

সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক

  • আপলোড সময় : ৩০-০৪-২০২৫ ০১:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৪-২০২৫ ০১:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রাম সুরমা নদীর ভাঙনে পড়ে একাধিক ঘরবাড়ি ও অর্ধ শতাধিক গাছপালা বিলীন হয়েছে। বর্তমানে যাতায়াতের সড়কটিও বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই নদী ভাঙন রোধে সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিকবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিকার হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে। চলমান ভাঙন রোধে ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে পুরো ভাঙন এলাকায় ব্লক স্থাপন করা হয়েছিল। এর দুই বছর পর পুনরায় ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সাথে গ্রামের আব্দুর রূপান, আলী জাহান ও রহিম হোসেনের বাড়ির অংশ এবং বাড়ির সামনের রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। একাধিক বাসিন্দা জানান, গ্রামের রাস্তা বিলীন হওয়ার কারণে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, শিশু শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, রোগী, মহিলা, চাকুরিজীবী, মসজিদে আগত মুসল্লিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। কবরস্থান রয়েছে ঝুঁকির মুখে। তারা জানান, নদীর তীরে গাজী রহমানের বাড়ি বিলীন হওয়ার পর ফারুক মিয়ার বাড়ি বিলীন হয়েছে, নদীতে বিলীন হয়েছে আব্দুল মুতলিব ও মুসলিম উদ্দিনের বাড়ির অংশ। স্থানীয়রা আরও জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নদী ভাঙনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ভাঙন রোধে কিছু বস্তা ফেললেও কাজ হয়নি, থামেনি ভাঙন। এখন নদীতে বিলীন হয়েছে যোগাযোগ রাস্তা। এই রাস্তা বিলীন হওয়ায় ধীরে ধীরে গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হতে চলেছে। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা কমর উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির সামনে অন্তত আড়াই শত ফুট প্রশস্ত নদীর চর ছিল। সবই ভেঙে আমাদের বাড়িও চলে গেছে নদীগর্ভে। একই গ্রামের বাসিন্দা আলী জাহান, শুকুর আলী, রহিম হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ির অংশ প্রায় ৫০ ফুট ও বাড়ির সামনের রাস্তা ও অসংখ্য গাছপালা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন কবরস্থান বিলীন হতে চলেছে। তবে ২/১ বছর আগে এখানে নদী ভাঙন রোধে কিছু বস্তা ফেলা হয়েছিল। তবুও ভাঙন প্রতিরোধ হয়নি। জিয়াউল হক বলেন, চলাচলের পাকা সড়কসহ প্রায় দেড়শত ফুট নদীর তীর ও বাড়ির জায়গা নদীতে ভেঙে পড়েছে। এখন আমরা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি। গাজী রহমান বলেন, আমার বাড়ি পুরোটা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন আমি আলাদা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। আমার আশপাশের অনেকের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর আগে থেকে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে গ্রাম। কিন্তু নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের পূর্ব অংশের বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যদি যোগাযোগ রাস্তা রক্ষা না হয়, তবে গ্রাম দুই অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে। এপাড়া ওপাড়ার সাথে নৌকায় যোগাযোগ করতে হবে। এ বিষয়ে সোমবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ভাঙনের প্রতিকার চেয়ে আবেদন দিয়েছি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, মইনপুর, জগন্নাথপুর ও পূর্ব ইব্রাহীপুর গ্রামের নদী ভাঙন রোধে আগামীতে বরাদ্দ আসলে কাজ হবে। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের নদী ভাঙন রোধে আপাতত জরুরি কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে কাজ হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ