সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫ , ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের ‘অভিযোজন এক্সপো’ সম্পন্ন কাজের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুররা শহরমুখী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন! লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
পূর্ব ইব্রাহীমপুরে নদী ভাঙন

সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক

  • আপলোড সময় : ৩০-০৪-২০২৫ ০১:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৪-২০২৫ ০১:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রাম সুরমা নদীর ভাঙনে পড়ে একাধিক ঘরবাড়ি ও অর্ধ শতাধিক গাছপালা বিলীন হয়েছে। বর্তমানে যাতায়াতের সড়কটিও বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই নদী ভাঙন রোধে সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিকবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিকার হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে। চলমান ভাঙন রোধে ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে পুরো ভাঙন এলাকায় ব্লক স্থাপন করা হয়েছিল। এর দুই বছর পর পুনরায় ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সাথে গ্রামের আব্দুর রূপান, আলী জাহান ও রহিম হোসেনের বাড়ির অংশ এবং বাড়ির সামনের রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। একাধিক বাসিন্দা জানান, গ্রামের রাস্তা বিলীন হওয়ার কারণে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, শিশু শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, রোগী, মহিলা, চাকুরিজীবী, মসজিদে আগত মুসল্লিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। কবরস্থান রয়েছে ঝুঁকির মুখে। তারা জানান, নদীর তীরে গাজী রহমানের বাড়ি বিলীন হওয়ার পর ফারুক মিয়ার বাড়ি বিলীন হয়েছে, নদীতে বিলীন হয়েছে আব্দুল মুতলিব ও মুসলিম উদ্দিনের বাড়ির অংশ। স্থানীয়রা আরও জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নদী ভাঙনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ভাঙন রোধে কিছু বস্তা ফেললেও কাজ হয়নি, থামেনি ভাঙন। এখন নদীতে বিলীন হয়েছে যোগাযোগ রাস্তা। এই রাস্তা বিলীন হওয়ায় ধীরে ধীরে গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হতে চলেছে। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা কমর উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির সামনে অন্তত আড়াই শত ফুট প্রশস্ত নদীর চর ছিল। সবই ভেঙে আমাদের বাড়িও চলে গেছে নদীগর্ভে। একই গ্রামের বাসিন্দা আলী জাহান, শুকুর আলী, রহিম হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ির অংশ প্রায় ৫০ ফুট ও বাড়ির সামনের রাস্তা ও অসংখ্য গাছপালা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন কবরস্থান বিলীন হতে চলেছে। তবে ২/১ বছর আগে এখানে নদী ভাঙন রোধে কিছু বস্তা ফেলা হয়েছিল। তবুও ভাঙন প্রতিরোধ হয়নি। জিয়াউল হক বলেন, চলাচলের পাকা সড়কসহ প্রায় দেড়শত ফুট নদীর তীর ও বাড়ির জায়গা নদীতে ভেঙে পড়েছে। এখন আমরা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি। গাজী রহমান বলেন, আমার বাড়ি পুরোটা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন আমি আলাদা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। আমার আশপাশের অনেকের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর আগে থেকে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে গ্রাম। কিন্তু নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের পূর্ব অংশের বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যদি যোগাযোগ রাস্তা রক্ষা না হয়, তবে গ্রাম দুই অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে। এপাড়া ওপাড়ার সাথে নৌকায় যোগাযোগ করতে হবে। এ বিষয়ে সোমবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ভাঙনের প্রতিকার চেয়ে আবেদন দিয়েছি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, মইনপুর, জগন্নাথপুর ও পূর্ব ইব্রাহীপুর গ্রামের নদী ভাঙন রোধে আগামীতে বরাদ্দ আসলে কাজ হবে। পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের নদী ভাঙন রোধে আপাতত জরুরি কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে কাজ হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স