লন্ডন প্রবাসী রুহুল আমিন একজন সফল মৎস্য খামারি
- আপলোড সময় : ২৬-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরন ওয়াহিদনগর গ্রামের বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী রুহুল আমিন মুল্লুক। তিনি চাইলে বিলাসী জীবনযাপন করতে পারতেন। তা না করে তিনি একজন সফল মৎস্যচাষী হয়েছেন।
এ অঞ্চলে একটি প্রবাদ চালু আছে যে, একজন লন্ডনি হলে পরিবারের সবাই লন্ডনি হয়ে যায় এবং অন্য কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে অলস জীবনযাপন করে এবং একমাত্র লন্ডনির রোজগারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। অবশ্য সব লন্ডনি পরিবারে তা হয় না। হয় তো বা অতীতে অল্প হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই এই প্রবাদটি আজও মানুষকে তাড়া করে বেড়ায়। এমন প্রবাদ থেকে আগামী প্রজন্মকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাই তিনি একজন প্রবাসী হয়েও নিজে মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন এবং অন্যান্য প্রবাসীসহ সব মানুষকে কর্মজীবনের প্রতি উৎসাহিত করছেন। অন্যের রোজগারের দিকে না তাকিয়ে নিজে কর্মঠ হয়ে সফল হতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী রুহুল আমিন মুল্লুক এমনিতেই তিনি একজন সামাজিক মানুষ। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি লন্ডন থাকেন আবার দেশেও আসেন। এরমধ্যে তিনি নিজ এলাকায় প্রায় ৬০ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন খামার বাড়ি। এতে বড় বড় ১০টি পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে তিনি সফলও হয়েছেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিনি প্রবাস জীবনের পাশাপাশি তিনি একজন সফল মৎস্য খামারি হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে তাঁর সফলতা দেখে এলাকায় অন্যরাও খামার ব্যবসা শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে লন্ডন প্রবাসী ও সফল মৎস্য খামারি রুহুল আমিন মুল্লুক বলেন, আমি একজন সৌখিন মৎস্য খামারি। এতে লাভবানও হচ্ছি। আমি চাই, সকল মানুষ কর্মজীবী হোক। কেউ যেন কারো রোজগারের উপর নির্ভরশীল না হয়। প্রবাসী ভাইয়েরা যেন নিজ পরিবারের দেশে থাকা স্বজনদের কর্মমুখি হিসেবে গড়ে তুলুক এবং স্বজনেরাও প্রবাসীদের উপর চাপ কমিয়ে নিজে কর্মঠ হয়ে উঠুক। এটাই আমার প্রত্যাশা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সালেহ উদ্দিন বলেন, মুল্লুক সাহেব চাইলে তিনি আলিশান জীবন-যাপন করতে পারতেন। তা না করে তিনি স্থানীয় বেকার মানুষকে কর্মমুখী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বিশাল আকারের মৎস্য খামার ব্যবসা করায় অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, একজন প্রবাসী হয়েও তিনি মৎস্য খামারি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই, মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সম্প্রসারণে সবাই এগিয়ে আসুক। তিনি প্রবাসীর মৎস্য খামার পরিদর্শনের করার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ