স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কয়েকশত মিটার অদূরে খরচার হাওরে প্রকাশ্যে দিবালোকে কেটে নেয়া হচ্ছে খাস জমির মাটি।
গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক সরকারি অকৃষি জমি কেটে নিয়ে গেলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, সরকারি এই অকৃষি জমি স্থানীয়রা গরুকে চড়ানো, বোরো মৌসুমে চারা বপন, ধান শুকানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকেন। সম্প্রতি বাঁধে মাটি নেয়ার নামে হাওর নিকটবর্তী খাস জমি এস্কেভেটরের সাহায্যে দিনে-রাতে কেটে উজাড় করা হচ্ছে। যেহারে মাটি কাটা হচ্ছে এতে কিছুদিন পর হাওরে দৃশ্যমান কোনো জায়গা থাকবে না। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবেন কৃষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, সরকারি জায়গা থেকে দিনে-দুপুরে মাটি নেয়া হচ্ছে, প্রশাসনের কেউ কথা বলছে না। এলাকার নিরীহ কৃষকরা এ নিয়ে কথা বলতে চায় না। কারণ যারা মাটি কেটে নিচ্ছে তারা অনেক প্রভাবশালী। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, খাস জমিতে এস্কেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে একাধিক ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে মাটি নিয়ে যাচ্ছেন হিমেল নামের স্থানীয় এক রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা। খরচার হাওরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থায়ী বাঁধে চুক্তিভিত্তিক মাটি ফেলছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়ে মালিকানা জায়গা থেকে মাটি নেয়ার কথা থাকলেও ক্ষতার দাপট দেখিয়ে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মাটির কাটার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে বাধা দেন হিমেল ও তার লোকেরা। সরকারি জমি থেকে মাটি নেয়ার কোনো অনুমতি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে দাপট দেখিয়ে হিমেল বলেন, আমি হিমেলকে উপজেলার সবাই চিনে। আমি ব্যবসা করছি, চুরি করছি না। অনুমতি আছে কি-না আপনাকে কেনো বলবো। যা বলার ইউএনওকে বলবো। সরকারি খাস জমি থেকে মাটি নেয়ার ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিল্পী রানী মোদক বলেন, সরকারি জমি থেকে মাটি নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ শুনে আমি সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দিতেই তারা বলেছে ইউএনও স্যার তাদের অনুমতি দিয়েছেন। আমি স্যারকে ব্যাপারটি বলার পর তিনি বলেছেন, তাদের যেন অফিসে ডেকে আনি। কিন্তু মাটি কাটার লোকদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সরকারি জমি থেকে মাটি কাটার ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, আমি কোনো অনুমতি দেইনি। আমি এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড লিখিতভাবে জানিয়েছি। ঠিকাদারের লোকেরা যদি মাটি নেয়া বন্ধ না করে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়া হবে। এদিকে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
দেখার যেন কেউ নেই
অবাধে কাটা হচ্ছে সরকারি জমির মাটি
- আপলোড সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:২১:৪০ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ