সুনামগঞ্জ , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ , ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উকিলপাড়ায় পুরাতন ইটের সুরকি দিয়ে চলছে ড্রেন নির্মাণ ভরাট হচ্ছে নদ-নদী ধর্মপাশায় খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিরসন প্রসঙ্গে সীমান্তে ২২শ কেজি ভারতীয় ফুচকা জব্দ হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সুরমার ভাঙনে বদলে যাচ্ছে ৩ গ্রামের মানচিত্র, ভাঙন রোধে নেই পদক্ষেপ ‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’, আজ যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে বসছে বিএনপি ফসল তোলার উৎসব-সংগ্রামে একাকার হাওর-ভাটির কৃষক উৎকণ্ঠার মধ্যেই হাওরে ধান কাটার ধুম কোন কৃষককে হয়রানি করা যাবে না : খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিএনপি ও কৃষক দলের সংবাদ সম্মেলন বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালুর দাবিতে এবার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বেড়েছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা, তিন মাসে জেলায় ৮৭ অগ্নিদুর্ঘটনা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, দুশ্চিন্তায় কৃষক জগন্নাথপুরে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ক সভা ঢাকা ছাড়তে পুলিশের আবেদনের হিড়িক, ছয় মাসে সাড়ে সাত হাজারের বেশি বদলির আবেদন

হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

  • আপলোড সময় : ২০-০৪-২০২৫ ১২:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৪-২০২৫ ১২:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন
হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কোনো হাওর ইজারা থাকা উচিত নয়। হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে। এর প্রভাবে কী হবে না হবে, তা ভাবা যাবে না। হাওর সেখানকার মানুষের অধিকারের জায়গা, আর তা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। শনিবার (১৯ এপ্রিল) ‘সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ : হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)। হাওরের মালিক মূলত কে এমন প্রশ্ন রেখে মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ উপদেষ্টা বলেন, আসলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে হাওরগুলো রয়েছে। যদিও অধিকাংশ হাওর এলাকা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা শুধু ইজারা দিয়ে এখান থেকে রাজস্ব আহরণ করে। তিনি আরও বলেন, হাওরকে ঘিরে একটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। হাওর অঞ্চলের ২৯ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, তাকে বলা হচ্ছে অল ওয়েদার সড়ক। পরে জানা যায় যে, সব ঋতুতেই এ সড়ক সহনশীল। অথচ এ রাস্তা তৈরির মাধ্যমে এরই মধ্যে ওই এলাকার নিদারুণ ক্ষতি হয়ে গেছে। অনেক টাকা খরচ করে এই রাস্তাটা তৈরি করা অন্যায় হয়েছে। আমি মনে করি, এই রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার হওয়া দরকার। মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর ভেবেছিলাম, মাছ নিয়ে কাজ করতে হবে। মাছ তো নানা জায়গা থেকে আসে, নদী থেকে আসে, সমুদ্র থেকে আসে। কিন্তু হাওরের বিষয়টা যে এতো গভীর, তা বুঝতে পারিনি। সরাসরি হাওরে গিয়ে দেখে বুঝতে পারলাম, হাওর বাংলাদেশের একটা স¤পদ। হাওরে শুধু মাছ আছে তাই নয়, প্রাণিসম্পদও অনেক। মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছ ধরার জন্য এরই মধ্যে আমরা কারেন্ট জাল বন্ধ করেছি। কিন্তু বর্তমানে চায়নাদুয়ারী নামক জালে মাছ ধরা হচ্ছে। এগুলো অবশ্যই বন্ধ করা হবে। জাল হবে মৎস্যজীবীদের একটা উপকরণ অথচ এ জাল হয়ে গেছে এক অবৈধ জাল। প্রকৃত জেলেরা এসব অবৈধ জাল ব্যবহার করে না। কিছু মৌসুমি মৎস্যজীবী এসব জাল ব্যবহার করে বলে মন্তব্য করেন তিনি। উপদেষ্টা হাওর রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে বিলুপ্ত হওয়া মাছগুলো ফিরে আসতে পারে। সুতরাং জৈবিক ব্যবস্থাপনা হবে হাওর রক্ষার একটা মূল পদক্ষেপ। হাওরে অঞ্চলের ভুক্তভোগীরা বলেন, হাওর ইজারা প্রায় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালী মহাজনদের হাতেই যায়। ফলে সাধারণ মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হন। মৎস্যজীবী সমিতির নামে হাওর ইজারা নেওয়ার ক্ষেত্রেও নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের সমর্থকরা হাওর লিজ নিয়ে থাকে। তাই হাওর লিজ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রকৃত সাধারণ মৎস্যজীবী বা মৎস্যচাষিরা পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। ধরা’র আহ্বায়ক রাশেদা কে. চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, সাবেক সচিব ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। এতে আরও বক্তব্য দেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, হাওর সংস্কৃতি অধ্যয়ন এবং গবেষণা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সজল কান্তি সরকার, মানবাধিকারকর্মী জাকিয়া শিশির, হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এম মোখলেসুর রহমান। এসময় হাওর অঞ্চলের ভুক্তভোগী আহ্লাদ খান, অঞ্জনা বিশ্বাস, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে উপস্থাপনা করেন অ্যাসোসিয়েটস ফর ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এআইআরডি) পরিচালক আব্দুল হাই চৌধুরী।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স