সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এবার নয়, পরের নির্বাচনে ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাড়ছে ‘টার্গেট কিলিং’, অস্ত্রের উৎস নিয়ে শঙ্কা সুনামগঞ্জের ৩টি আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন, মাঠ ছাড়ছেন না বঞ্চিত নেতারা স্থানীয়দের পরামর্শ নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবো : পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একাধিক হোটেল ও রেস্তোরাঁকে জরিমানা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন,কারো প্ররোচনায় ভুল করবেন না: আনিসুল হক অসুস্থ মানিকের পাশে দাঁড়ালেন বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও মেরিন দেবনাথ ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ডিসিদের রদবদল করা হচ্ছে : গোলাম পরওয়ার পর্যটকদের ফেলা প্লাস্টিক-পলিথিন-কাঁচের বোতলে ভরেছে হাওর, ব্যাহত কৃষিকাজ সবাই মিলে টাঙ্গুয়ার হাওরকে সংরক্ষণ করতে হবে ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫ সনাক-ইয়েস-এসিজি’র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা কমরেড শ্রীকান্ত দাশের জীবনাদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় তাহিরপুরে ১১শ কৃষককে বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা, আপিল করবে মন্ত্রণালয় ৩০ একর জায়গা দখল করে মৎস্য নিধনের অভিযোগ ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮ হত্যাকান্ড সদর হাসপাতালের কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
স্বাগত ১৪৩২

অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা

  • আপলোড সময় : ১৪-০৪-২০২৫ ০৯:০৪:২১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৪-২০২৫ ০৯:০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
“মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা।” বৈশাখকে এভাবেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পুরোনো দিনের ব্যর্থতা আর গ্লানি মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে আসে বৈশাখ। কবিগুরুর লেখায় সেটিই প্রকাশ পায়।
পাকিস্তানের সেনাশাসক আইয়ুব খানের আমলে যখন বাঙালির পরিচয় নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করা হয়, তখন বাংলা বর্ষবরণ উৎসব হয়ে উঠেছিল বাঙালির আত্মপরিচয় টিকিয়ে রাখার রাজনৈতিক হাতিয়ার।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। ১৪৩২ সালের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্যদিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। পহেলা বৈশাখ আমাদের সব সঙ্কীর্ণতা, কূপমু-কতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এ স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় এ নববর্ষ। প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ।
ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।
বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে।
এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।
মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এ সময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে শুরু হয় বর্ষবরণ।
আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এ উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
এবার নয়, পরের নির্বাচনে ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

এবার নয়, পরের নির্বাচনে ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা