সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫ , ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের ‘অভিযোজন এক্সপো’ সম্পন্ন কাজের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুররা শহরমুখী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন! লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
জেলা প্রশাসকের কাছে স্থানীয়দের আবেদন

লঞ্চঘাট এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও যাত্রীছাউনি নির্মাণের দাবি

  • আপলোড সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৬:২৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৬:২৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
লঞ্চঘাট এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও যাত্রীছাউনি নির্মাণের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের লঞ্চঘাট-পূর্ব ইব্রাহীমপুর খেয়াঘাটের পূর্বদিকে সুরমা নদীরপাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রীছাউনি নির্মাণের দাবি উঠেছে। ৩০৬ স্থানীয় বাসিন্দা স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করা হয়। এর আগে স্থানীয়রা র‌্যালি সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে এই আবেদন দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক আশ্বস্ত করে বলেন, যদি সরকারি জায়গা হয়, তবে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের জায়গার ব্যবস্থা হবে। এই বিষয়টি দেখার জন্য এডিসি রাজস্বকে দিচ্ছি। পরে এডিসি (রাজস্ব) সাথে দেখা করেন পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামবাসী। তিনিও তাদের একইভাবে আশ্বস্ত করেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আবেদনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল এবং ব্যবসায়ীদের স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। আবেদনে তারা খেয়াঘাটে অপেক্ষমাণ হাজারো শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টিতে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে নদীর তীরে অবৈধ হোটেলসহ অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রীছাউনি নির্মাণের দাবি জানান। জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে উল্লেখ করা হয়, লঞ্চঘাট এলাকায় বেঙ্গল ওয়াটার নামের লঞ্চ সার্ভিস অফিসের কার্যক্রম চলতো ছোট্ট একটি পাকা ঘরে। ১৯৫৯-১৯৬১ সালের দিকে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) বি. আর নিজাম জনস্বার্থে এই অফিস ঘর নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেন। তখন অনুমান ৩ শতাংশ জায়গার উপর এই অফিস ঘর নির্মাণ করা হয়। এই জায়গার শ্রেণী লায়েক পতিত। যার জেএল নং-১৪৪, মৌজা-তেঘরিয়া। সরকারি ১ খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত এস.এ দাগ নং-১৬০১, জায়গার পরিমাণ ৩১ শতাংশ। স্থানীয়রা জানান, তৎকালীন পাকিস্তান আমলে পাক ওয়াটার ওয়েজ কোং লিমিটেড বিলুপ্ত হলে বাংলাদেশ আমলে বেঙ্গল ওয়াটার ওয়েজ লিমিটেড নামকরণ হয়। সেই পাকিস্তান আমল থেকে অফিসের সামনের দিকে ছিল জেলা বন বিভাগের চলাচল রাস্তা। এখনও বন বিভাগের এই অফিস বিদ্যমান আছে। যাহার জেএল নং- ১৪৪, মৌজা- তেঘরিয়া। সরকারি ১ খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত এস.এ দাগ নং- ১৬০২, জায়গার পরিমাণ ৪৬ শতাংশ, শ্রেণী-বাড়ি। বন বিভাগে আসা-যাওয়া করতে ১৬০১ দাগের নদীরপাড় দিয়ে রাস্তা ছিল। এখন অফিসের কর্মচারী কর্মকর্তাদের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ আছে। বর্তমানে সরকারি ১নং খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ১৬০১ দাগের ৩১ শতক জায়গায় বিলুপ্ত বেঙ্গল ওয়াটারের অফিস, বন বিভাগের রাস্তা, নদীর তীরসহ অন্যান্য জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করে আসছেন বেঙ্গল ওয়াটার অফিস দখল করে থাকা বসতিরা। স্থানীয় একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, দীর্ঘ ৭০ বছর যাবত শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় এই খেয়াঘাটের নৌকায় পারাপার হয়ে আসছেন। সদর উপজেলার সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষার্থীসহ বয়স্ক মহিলা পুরুষ, রোগী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রতিদিন খেয়া নৌকায় পারাপার হয়ে শহরে আসা-যাওয়া করছেন। কিন্তু সুনামগঞ্জ পৌর শহরের এই লঞ্চঘাট এলাকায় শহর ও পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামে যোগাযোগ খেয়াঘাট সংলগ্ন পূর্বদিকে প্রায় ১৭ বছর আগে থেকে সুরমা নদীরপাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে নারী, মেয়ে শিক্ষার্থীরা খেয়া পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়ানোর জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা (হোটেল) থাকায় ইভটিজিংসহ হোটেলের ময়লা-আবর্জনা ফেলা, সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের গায়ে রান্না করা চুলার গরম তেল ছিটকে পড়া, ছাইয়ের গুড়া উড়িয়ে ফেলা, নোংরা পানি ফেলা প্রভৃতি সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে আসছে। এছাড়াও হোটেলের রান্নার চুলা ও লাকড়ি রোডের উপর স্তূপ করে রাখায় পুলিশ ফাঁড়ির গাড়ি ও যাত্রী সাধারণের চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। হোটেলের নোংরা পানি সিঁড়ির পাশে ফেলায় চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এসব সমস্যা নিরসনে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা। জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সিনিয়র সাংবাদিক আকরাম উদ্দিন, সুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন, পূর্ব ইব্রাহীমপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সমাজসেবক জগলুল আহমদ, নুরুল ইসলাম, রাজা মিয়া, রাসেল আহমদ, কমর উদ্দিন, দেলোয়ার মিয়া, কমলা মিয়া, বাবু মিয়া, দুলাল মিয়া, বকুল মিয়া, জহুর উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, কুটি মিয়া, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মন্নান, মিয়াধন, কালা মিয়া, ইসলাম উদ্দিনসহ অনেকে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স