বেহাল সড়কে চরম ভোগান্তি
- আপলোড সময় : ২৯-০৮-২০২৪ ১০:০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৮-২০২৪ ১০:০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ বাজার থেকে লাউড়েরগড় সড়কপথে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দিন দিন এর অবস্থা আরও বেহাল হচ্ছে। শুধু এই সড়কটিই নয় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর অবস্থাও কর”ণ। এসব সড়কপথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন উপজেলার বাসিন্দারা।
পলাশ বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে তারা জানান, উপজেলার গুর”ত্বপূর্ণ পলাশ-ধনপুর-মাছিমপুর-সরূপগঞ্জ হয়ে লাউড়েরগড় বাজার, পলাশ বাজার-ধনপুর বাজার-আনন্দ বাজার-বিন্নাকুলী বাজার, কারেন্টের বাজার-ধনপুর বাজার, চিনাকান্দি-মতুরকান্দি বাজার, চিনাকান্দি-জয়বাংলা বাজার সড়ক, নিয়ামতপুর-ফতেপুর সড়কসহ ধনপুর, পলাশ, সলুকাবাদ ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন হাজারো চলাচল করেন। এসব সড়কের পাশে রয়েছে ২৫-৩০টি ছোট ছোট বাজার। আর বাজারগুলোতে ছোট বড় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিদিন এই বাজারের আশপাশের গ্রামের কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। সেই পণ্য আবার উপজেলাসহ জেলা শহরে পাঠানো হয়। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সড়কগুলো মেরামত না করায় ছোট ছোট গর্তে পানি জমে থাকার পর এখন বড় আকার ধারণ করছে। এ কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করার সময় দুই পাশে দোকানে ময়লা পানি ও কাদা ছিটে গিয়ে পড়ছে। এছাড়া অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
পর্যটক বহনকারী লাইটেস চালক জমির মিয়া জানান, পলাশ বাজার থেকে শুর” হয়ে লাউড়েরগড়, ধনপুর থেকে বিন্নাকুলী বাজার পর্যন্ত ভাঙ্গাচুরা সড়কে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
অটোরিকশা চালক ইসলাম উদ্দিন জানান, সড়কের মধ্যে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। এ পথে চলাচলে যাত্রীদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি আমাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মাছিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া জানান, বেহাল সড়কের জন্য আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এখন ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ছে। আমরা সড়কগুলো দ্র”ত সংস্কারের দাবি জানাই।
মোটর সাইকেল চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, গুর”ত্বপূর্ণ সড়কগুলো মেরামত না করায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমাদের উপার্জনও কমে গেছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রকৌশলী একরামুল হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। উপজেলার কয়েকটি গুর”ত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারে টেন্ডার হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশা করছি খুব দ্র”ত সময়ের মধ্যেই অনুমোদন হবে। এরপরই কাজ শুর” করতে পারব।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ