সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শাপলা প্রতীক কেউ পাবে না: বিবিসি বাংলাকে সিইসি সুনামগঞ্জে এনসিপি’র নেতৃত্বে সাজাউর রাজা সুমন এনসিপি’র কমিটিতে নাম আসা হারুনুর রশিদ বললেন- “তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত” পাসপোর্ট ইস্যু বেড়েছে চার গুণ শহর যানজটমুক্ত করতে ১৬ জুলাই থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : জেলা প্রশাসক একটি মাত্র সেতুর অভাবে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ পাঁচ গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে : ট্রাইব্যুনাল ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি, স্পষ্ট হচ্ছে অদৃশ্য শত্রু : তারেক রহমান চার উপজেলায় এসিল্যান্ড নেই, দুর্ভোগে সেবাপ্রত্যাশীরা শহরের খাল উদ্ধারে ফের শুরু হচ্ছে অভিযান তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ এনসিপি’র সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন অপহরণের ১৪ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে টিআরের বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে অক্টোবরে আসামি থেকে রাজসাক্ষী : সুবিধা-অসুবিধা জুয়া ও মাদকে সয়লাব শ্রীপুর বাজার জগন্নাথপুরে এমপি প্রার্থী এমএ কাহারের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি

শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ২৩-০৩-২০২৫ ০১:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৩-২০২৫ ০১:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় প্রসঙ্গে
বলা হচ্ছে দেশে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ বাড়ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসংঘসংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলছে। একটি পত্রিকায় মাগুরার শিশুধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘কেবল মাগুরার ঘটনা নয়, বিভিন্ন স্থানে যেভাবে নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে, তাতে যেকোনো নাগরিকেরই উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ২৯৪ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৯৬ জন, যার মধ্যে ৪৪ জনই শিশু।’ এই তথ্য বলছে, নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা চলছে এবং তা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কারও কারও অভিমত এই যে, নারী ও শিশুর উপর সহিংসতার তীব্রতা আপাতদৃষ্টিতে বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে, বরং বর্তমানে সহিংসতার যে মাত্রাকে ‘বেড়েছে’ কিংবা ‘বাড়ছে’ বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রকৃতপ্রস্তাবে সমাজপরিসরে সহিংসতার তীব্রতা সে মাত্রার চেয়ে বেশিই বিদ্যমান আছে। এই মতের নির্গলিতার্থ এই যে, আন্তর্জালিক সংস্কৃতির খোলামেলা পরিসরে ইদানিং সহিংসতা নিজেকে গোপন করে রাখার সামর্থ্য কীছুটা হলেও হারিয়েছে এবং এই কারণে মনে হচ্ছে যে, সমাজে সহিংসতা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সহিংসতাপ্রবণ সমাজটিকে ভুলে গেলে চলবে না। এখানে প্রতিষ্ঠিত কাঠামোগত সহিংসতার পরিসরে সর্বপ্রকার রাজনীতিক, সামাজিক ও আর্থনীতিক সহিংসতাসহ পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতির আবহে লালিত যৌনসহিংসতাও জায়মান আছে। আমাদের সমাজের বৈশিষ্ট্যই এমন, এখানে জনসমক্ষে যে কোনও ধরণের নারীনির্যাতন বা যৌনসহিংসতা সংশ্লিষ্ট ঘটনার বর্ণনাবিবরণের প্রকাশ ঘটে না, ক্ষেত্রবিশেষে সামাজিক বিচার-সালিশ বসিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পরিসর তৈরি করা হয় মাত্র এবং এমনকি ভুক্তভোগী যাতে সংশ্লিষ্ট বৈচারিকসংস্থার কাছে বিচারপ্রার্থী হতে না পারে তার জন্য বিচারপ্রার্থীসহ তার স্বজনদেরকে ঠেকানোর জন্য মাতব্বরদের পক্ষ থেকে ভোক্তভোগী ও তার স্বজনদেরকে সমাজচ্যুত করা ও এলাকা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দেওয়া হয়, প্রয়োজনে খুন পর্যন্ত করা হয়। অপরদিকে আইন প্রয়োগ করা হয় অপরাধ সংঘটনের পর। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে এবং অপরাধ সংঘটনের পর সেটাকে ধামাচাপা দেওয়া ও আইনের ফাঁক ব্যবহার করে শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার কার্যক্রম চলে পুরোমাত্রায়, প্রকারান্তরে বিচারপ্রাপ্তিকে দামি পণ্য করে তোলা হয়। যেমন ব্যতিক্রমবাদে প্রায় ক্ষেত্রেই ধর্ষণের সালিশ বসানোই হয় টাকা লেনদেনের একটি কৌশল হিসেবে। অর্থ আয়ের এই প্রবণতার খপ্পড়ে পড়ে আইন আসলে বিচার বাণিজ্যিকতার বৈশিষ্ট্যে যতোটা সমোজ্জ্বল হয়ে উঠে ততোটা অপরাধীকে শাস্তি প্রদানে শানিত হতে পারে না এবং সিংহভাগ অপরাধী যথারীতি রেহাই পেয়ে যায়। অভিজ্ঞমহলের ধারণা এই যে, অপরাধী ধরা পড়লে শাস্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে, অর্থাৎ আইনকে। একটি পত্রিকার অনুসন্ধন বলছে যে, এই দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ৩ শতাংশ অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিত হয় মাত্র। বাকিরা আইনের ফাঁকফোকর গলে বেরিয়ে যেতে পারেন সহজেই। বিচারব্যবস্থার সামগ্রিক পরিসরে এমনটাই চলছে বলা যায় এবং এই অবকাশে উত্তরোত্তর অপরাধ বাড়ছে বৈ কমছে না। তাই বলছি : আইনের ফাঁকফোকর যেমন বন্ধ করা দরকার, তেমনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুগোপযোগী করে তুলতে হবে, যাতে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই সেটাকে প্রতিরোধ করা যায় এবং তার সঙ্গে রাজনীতিক সমাজ কর্তৃক নাগরিক সমাজের উপর রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে কাঠামোগত সহিংসতার চর্চার অবসানকল্পে সমাজসাংস্থিতিক পরিসরটিকেও জনবান্ধব করে তুলার পক্ষে বদলে দিতে হবে। অন্যথায় দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যাহত হবেই, কোনওক্রমেই প্রতিহত করা যাবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
এনসিপি’র কমিটিতে নাম আসা হারুনুর রশিদ বললেন- “তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত”

এনসিপি’র কমিটিতে নাম আসা হারুনুর রশিদ বললেন- “তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত”