সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্বৈরশাসক ফিরে আসার পথ বন্ধ করা প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন
স্বৈরশাসক ফিরে আসার পথ বন্ধ করা প্রসঙ্গে
গতকালের (১৯ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের দুইটি সংবাদশিরোনাম ছিল : ‘স্বৈরশাসক ফিরে আসার সমস্ত পথ বন্ধ করতে হবে : অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের’ ও ‘শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ’। এই দুইটি সংবাদশিরোনামে বিবৃত প্রথমটিতে ‘স্বৈরশাসক’ ও দ্বিতীয়টির মর্মার্থে বিধৃত ‘একটি পরিবারের আর্থিক সঞ্চয় ৩৯৮ কেটি টাকা’ এই দুইটি প্রপঞ্চ বা সমাজবাস্তবতা পরস্পরের সঙ্গে আবিচ্ছেদ্যভাবে সংশ্লিষ্ট। একটি অন্যটির উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ পরিপূরক। একটির অভাবে অন্যটি আবির্ভূত হয় না। এই দুটি প্রপঞ্চ একটি মূর্তনির্দিষ্ট আর্থনীতিক নিয়মের ঐতিহাসিক পরিণতি। এই পরিণতিকে প্রতিরোধ করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে বার বার ভিন্ন ভিন্ন দেশে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে, স্বৈরশাসনের প্রবণতাকে বিনাশ করতে বিপ্লব হয়েছে, কিন্তু কালচক্রের আবর্তে পড়ে প্রতিবিপ্লব হয়েছে এবং যথারীতি আবার স্বৈরশাসন ফিরে এসেছে। এই বিপ্লব কিংবা প্রতিবিপ্লব এক শ্রেণির মানুষই করেছে অন্য শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে এবং প্রকারান্তরে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, পৃথিবীতে মানুষই মানুষের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আছে উৎপাদিত সম্পদের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা উদ্ভবের কাল থেকে আজ পর্যন্ত। মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের এই উত্থানের মূলে কাজ করে মানুষের চেতনায় বদ্ধমূল হয়ে থাকা উদ্বৃত্তশ্রম বা উদ্বৃত্তসম্পদ আত্মসাতের প্রবণতা এবং এই প্রবণতাকে সার্থক করে তোলে প্রতিষ্ঠিত আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকাঠামো, যে ব্যবস্থাকাঠামোটি আসলে সম্পদ আত্মসাতের একটি অনুকূল সমাজসাংস্থিতিক পরিসর। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার এখানে অবকাশ নেই। কেবল বলি রাষ্ট্রশাসনের পরিসরে স্বৈরশাসকের আবির্ভাবকে বন্ধ করতে হলে সমাজপরিসরে জায়মান উদ্বৃত্তশ্রম আত্মসাৎ অর্থাৎ শ্রমশোষণ অথবা শ্রেণিশোষণের আর্থনীতিক প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করতে হবে। তাহলেই কোনও ব্যক্তি বা পরিবার এককভাবে ৩৯৪ কোটি টাকার মালিক হতে পারবে না এবং স্বৈরশাসক হওয়ারও আশঙ্কা একেবারেই দূরিভূত হয়ে গণতান্ত্রিকতা ফিরে আসবে। ভুলে গেলে চলবে না, সঞ্চিত সম্পদ পুঁজি হয়ে উঠে সমাজশাসনের ক্ষমতার উদ্ভব ঘটায় এবং স্বৈশাসনের পথ নিষ্কণ্টক করে পুঁজির প্রভুত্বকে নিশ্চিত করে তোলে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ