সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাঙ্গুয়ার ‘দম যায় যায়’ অবস্থা দলগুলোর মতানৈক্য : মাঠে গড়াচ্ছে রাজনীতি পূর্ব ও পশ্চিম নতুনপাড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি শিশুশ্রম মুক্ত আদর্শ সুনামগঞ্জ পৌরসভা ঘোষণা বিষয়ে সভা দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয় পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর ‘ফুল স্পিডে’ চলছে সংসদ নির্বাচনের কেনাকাটা ভূমিকম্পে তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ১০ স্থানে ফাটল সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্ব হস্থান্তর ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই

স্বৈরশাসক ফিরে আসার পথ বন্ধ করা প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন
স্বৈরশাসক ফিরে আসার পথ বন্ধ করা প্রসঙ্গে
গতকালের (১৯ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের দুইটি সংবাদশিরোনাম ছিল : ‘স্বৈরশাসক ফিরে আসার সমস্ত পথ বন্ধ করতে হবে : অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের’ ও ‘শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ’। এই দুইটি সংবাদশিরোনামে বিবৃত প্রথমটিতে ‘স্বৈরশাসক’ ও দ্বিতীয়টির মর্মার্থে বিধৃত ‘একটি পরিবারের আর্থিক সঞ্চয় ৩৯৮ কেটি টাকা’ এই দুইটি প্রপঞ্চ বা সমাজবাস্তবতা পরস্পরের সঙ্গে আবিচ্ছেদ্যভাবে সংশ্লিষ্ট। একটি অন্যটির উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ পরিপূরক। একটির অভাবে অন্যটি আবির্ভূত হয় না। এই দুটি প্রপঞ্চ একটি মূর্তনির্দিষ্ট আর্থনীতিক নিয়মের ঐতিহাসিক পরিণতি। এই পরিণতিকে প্রতিরোধ করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে বার বার ভিন্ন ভিন্ন দেশে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে, স্বৈরশাসনের প্রবণতাকে বিনাশ করতে বিপ্লব হয়েছে, কিন্তু কালচক্রের আবর্তে পড়ে প্রতিবিপ্লব হয়েছে এবং যথারীতি আবার স্বৈরশাসন ফিরে এসেছে। এই বিপ্লব কিংবা প্রতিবিপ্লব এক শ্রেণির মানুষই করেছে অন্য শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে এবং প্রকারান্তরে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, পৃথিবীতে মানুষই মানুষের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আছে উৎপাদিত সম্পদের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা উদ্ভবের কাল থেকে আজ পর্যন্ত। মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের এই উত্থানের মূলে কাজ করে মানুষের চেতনায় বদ্ধমূল হয়ে থাকা উদ্বৃত্তশ্রম বা উদ্বৃত্তসম্পদ আত্মসাতের প্রবণতা এবং এই প্রবণতাকে সার্থক করে তোলে প্রতিষ্ঠিত আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকাঠামো, যে ব্যবস্থাকাঠামোটি আসলে সম্পদ আত্মসাতের একটি অনুকূল সমাজসাংস্থিতিক পরিসর। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার এখানে অবকাশ নেই। কেবল বলি রাষ্ট্রশাসনের পরিসরে স্বৈরশাসকের আবির্ভাবকে বন্ধ করতে হলে সমাজপরিসরে জায়মান উদ্বৃত্তশ্রম আত্মসাৎ অর্থাৎ শ্রমশোষণ অথবা শ্রেণিশোষণের আর্থনীতিক প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করতে হবে। তাহলেই কোনও ব্যক্তি বা পরিবার এককভাবে ৩৯৪ কোটি টাকার মালিক হতে পারবে না এবং স্বৈরশাসক হওয়ারও আশঙ্কা একেবারেই দূরিভূত হয়ে গণতান্ত্রিকতা ফিরে আসবে। ভুলে গেলে চলবে না, সঞ্চিত সম্পদ পুঁজি হয়ে উঠে সমাজশাসনের ক্ষমতার উদ্ভব ঘটায় এবং স্বৈশাসনের পথ নিষ্কণ্টক করে পুঁজির প্রভুত্বকে নিশ্চিত করে তোলে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স