শান্তিগঞ্জে নদী তীরের মাটি কেটে অবাধে বিক্রি
- আপলোড সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ০৪:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ০৪:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন

শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের তেহকিয়া গ্রামের পূর্ব-পশ্চিম দিকের পাইব্বার দাইড় নালা ও নিতাই নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন তেহকিয়া গ্রামবাসী।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, তেহকিয়া গ্রামের পূর্ব-পশ্চিম দিকে পাইব্বার দাইড় নালাসহ নিতাই নদী বহমান এবং উক্ত নদীর দুই পার্শ্বে গ্রামের অনেক ঘর-বাড়িসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পাইব্বার দাইড় নালাসহ নিতাই নদীর তীরের মাটি উত্তোলন এবং বিক্রি করছেন গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল জলিলের ছেলে আতাউর রহমান, মৃত সাহেব আলীর ছেলে বাবুল মিয়া, মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে জাহির আলী, মৃত শানুর আলীর ছেলে আবলুছ মিয়া, শহর উল্লার ছেলে আব্দুল খালিক, আব্দুল ছত্তার। সরকারি নির্দেশনা বা অনুমোদন ব্যতীত অবৈধভাবে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে তারা বিভিন্ন জায়গায় অবাধে বিক্রি করছেন। নদীর পাড় হতে মাটি কাটার ফলে গ্রামের অনেক ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন রকম স্থাপনা হুমরি মুখে পড়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গ্রামবাসী প্রভাবশালী চক্রকে মাটি উত্তোলনে বাধা-নিষেধ করলে তারা গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
তেহকিয়া গ্রামের ফখরুল ইসলাম, সৈয়দুর রহমান, নানু মিয়া, আবু তালিব, লুৎফুর রহমান, রিপন মিয়া, মহুর আলীসহ অনেকেই জানান, আমাদের বাঁধা উপেক্ষা করে গ্রামের পার্শ্বের নিতাই নদীর তীর ও পাইব্বার দাইড় নালা সংলগ্ন স্থান থেকে গ্রামের আতাউর, বাবুল মিয়াসহ ৬জন মিলে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। সরকারি রাস্তায় মাটি দেওয়ার কথা বলে তারা তা বিক্রি করছেন। এখন আমাদের গ্রামের স্কুলের মাঠ, যাতায়াতের রাস্তাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন সময় এগুলো ভেঙে পড়তে পারে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের ব্যাপারে আতাউর রহমান জানান, যারা আমার নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দিয়েছেন, তা সঠিক নয়। আমি কোন মাটি কাটিও নাই, বিক্রয়ও করি নাই। তবে মাটিগুলো গ্রামের বাবুল মিয়া সরকারি রাস্তায় দিয়েছেন। তিনি এগুলো উত্তোলন করে সড়কের কাজে লাগিয়েছেন।
বাবুল মিয়া জানান, নিতাই নদী থেকে আমি কিছু মাটি এলাকার বৃহৎ স্বার্থে সড়কে কেটে দিয়েছি। বাকি মাটিগুলো আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ভেকু মেশিন লাগিয়ে রাতের আধারে মানুষের ঘর-বাড়িতে বিক্রয় করেছেন। যা এই এলাকার সবাই অবগত আছেন। মূলত চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন মাটিগুলো বিক্রয় করেছেন।
পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। কে সড়কে মাটি দিয়েছেন, আর কে এই মাটিগুলো বিক্রয় করেছেন এর কিছুই জানি না আমি। যারা আমার নাম বলছেন, তারা ভুল বলছেন। হয়তো কোন আক্রোশের বসে তারা আমার নাম উল্লেখ করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা জানান, এই বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ