ধর্ষণ নির্মূলের সূত্রপাত প্রসঙ্গে
- আপলোড সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ১২:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ১২:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণের প্রতিবাদ চলছে সমান তালে। গতকালের (১৫ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠে তিনটি ধর্ষণপ্রতিরোধী কর্মসূচির সংবাদ ছাপা হয়েছে। এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন পত্রিকাও বোধ করি পিছিয়ে নেই। দেশজুড়ে সর্বত্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের কর্মসূচি চলছে, দাবি উঠেছে ধর্ষককে মৃত্যুদ- দেওয়ার। দেশব্যাপী এই আলোড়ন হচ্ছে মাগুরার শিশুধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মনে হয়, অচিরেই এই আলোড়ন থেমে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই আলোড়ন থেমে গেলে পরে কী হবে? উত্তরটা খুবই সহজ। সমাজে আগের মতোই ধর্ষণ চলতে থাকবে, প্রতিরোধ হবে না এবং প্রতিকার দিল্লিদূরস্ত যথারীতি থেকেই যাবে, কোনও সুরাহা মিলবে না। ফের প্রতিবাদের ঝড় উঠবে এবং মিলিয়ে যাবে।
দেশে ধর্ষণবিরোধী আইন আছে, সে-আইন থাকার পরও অবস্থার কোনও হেরফের ঘটবে বলে মনে হয় না। কারণ, অস্বীকার করার উপায় নেই, এই দেশে আইনের প্রয়োগ নিয়ন্ত্রিত হয়। কঠোরভাবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধ যেমন আইনের ফাঁকফোঁকড়ে চলতেই থাকে, তেমনি ধর্ষণও
চলতেই থাকবে। অর্থাৎ মাগুরার শিশুধর্ষণের ঘটনাটির জের থিতিয়ে গেলে লোকে ভুলে যাবে ধর্ষণের বীভৎসতা ও ভয়াবহতাকে। অভিজ্ঞমহলের ধারণা, ধর্ষণের বীজ সমাজের মাটিতে বপনরোপণের অবকাশ রেখে দিয়ে যতোই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক না কেন সমাজবাস্তবতার অংশ হিসেবে ধর্ষণ থেকেই যাবে, নির্মূল করা যাবে না। তবে ধর্ষণ প্রতিরোধে নারী-পুরুষের মর্যাদা সমান করে তোলতে হবে সর্বাগ্রে, যৌনতা নিয়ন্ত্রণের পরিসরে ধর্ষণের ঘটনায় নারী যতোটা অপমানিত হয় পুরুষকেও ততোটাই অপমানিত হতে হবে। সমাজমানসতায় তথা মানুষের চিন্তা ও উপলব্ধির জগতে ধর্ষণের বিষয়ে এবংবিধ ধারণাপ্রত্যয়ের উদ্রেক হলেই কেবল ধর্ষণ নির্মূলের সূত্রপাত ঘটবে, অন্যথায় নয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ