নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কঠোর হোন
- আপলোড সময় : ১৫-০৩-২০২৫ ১২:৪৯:১৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-০৩-২০২৫ ১২:৪৯:১৫ অপরাহ্ন

নারীর প্রতি সহিংসতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই দেশে মোট ৮৫ জন কন্যা ও ১২০ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ তথ্য মহিলা তথ্য মহিলা পরিষদের। তাদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক মাসিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি) অনুযায়ী এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭ জন। তারমধ্যে ১৪ জন কন্যাসহ ২০জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১ জন কন্যাসহ ২ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ২ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ফেব্রুয়ারি মাসেই এই নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে বহুগুণে। এই মাসে দেশে ১৮৯টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৪৮ টি। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১ জন, বিভিন্ন কারণে ১০ জন কন্যাসহ ৪৬ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। দেশের ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই প্রতিবেদন।
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। আসা ছিল যেন বাংলাদেশে লিঙ্গ-ধর্মের ব্যবধান কমে যাবে। কিন্তু গত ৭ মাসে বিশেষ করে নারীদের উপর বিভিন্ন উপায়ে আক্রমণ ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওএইচসিএইচআর তাদের প্রতিবেদনে সামগ্রিক এবং প্রেক্ষাপটের উপযোগী ক্রান্তিকালীন বিচার মডেল গড়ে তোলার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ ও পরামর্শের সুপারিশ করেছে।
একটি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাসহ একটি ভিকটিম কেন্দ্রীয় পন্থার মাধ্যমে সত্য অনুসন্ধান, ক্ষতিপূরণ মেমোরিয়ালাইজেশন নিরাপত্তা খাতের যাচাইকরণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা যা পুনরাবৃত্তি রোধের নিশ্চয়তা দেবে। কারণ তাঁরা মনে করে এ ধরনের প্রক্রিয়া সামাজিক সংহতি, জাতীয় নিরাময় বা হিলিং এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সোপর্দ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
রাজনীতিতে ও জনপরিষদে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ সাপেক্ষে ভিকটিম কেন্দ্রিক ক্রান্তিকালীন বিচারের মডেল তৈরি করা এখন খুবই জরুরি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ