সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড বিশ্বম্ভরপুরে টাস্কফোর্স অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ ক্ষোভ-শোক-প্রতিবাদে ফুঁসছে জনতা টাঙ্গুয়ার হাওরে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ট্যুরিজমে’ মনঃক্ষুণœ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণের ঘটনার তদন্ত ও আইসিইউ চালুর দাবি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৬ জনের কারাদণ্ড জামালগঞ্জে “হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ সীমান্তে ২৩টি ভারতীয় গরু জব্দ দিরাইয়ে তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট সময় হাওরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা দিরাইয়ে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল দিরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ দুই ছাত্রীকে অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন

বিদায় অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক

  • আপলোড সময় : ১৫-০৩-২০২৫ ০২:৫১:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৩-২০২৫ ০২:৫১:২৭ পূর্বাহ্ন
বিদায় অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: তিনটি জানাজা শেষে শুক্রবার রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হলো অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মরদেহ। বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য। রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহ¯পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। ৬ মার্চ ইফতার কেনার জন্য ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান এই শিক্ষক। তাঁকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর পর অধ্যাপক আরেফিনকে নিউরো আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এর পর থেকে তিনি সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গ্রিন রোড এলাকায় বায়তুল আকসা মসজিদে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অধ্যাপক আরেফিনের শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। জুমার নামাজের পর ধানমন্ডির ঈদগাহ মসজিদে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর কিছুক্ষণ পর ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রয়াত আরেফিন সিদ্দিকের শিক্ষার্থী, সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও স্বজনেরা এই জানাজায় অংশ নেন। এই জানাজা শেষে অধ্যাপক আরেফিনের মরদেহ আজিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে মরদেহ দাফন করা হয়। অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডিতে। তাঁর পুরো নাম আবু আহসান মো. সামসুল আরেফিন সিদ্দিক। পৈতৃক নিবাস ছিল নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ¯œাতকোত্তর শেষে ১৯৮০ সালে এই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন আরেফিন সিদ্দিক। ভারতের মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আরেফিন সিদ্দিক। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। ২০১৭ সালে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে আবারও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান তিনি। অধ্যাপক আরেফিন একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যাওয়ার পর আরেফিন সিদ্দিক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্যাম্পাসে জানাজা না হওয়া নিয়ে সমালোচনা : অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা ৮ বছর উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁর শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের অনেকে চেয়েছিলেন সেই ক্যা¤পাসে তাঁর অন্তত একটি জানাজা হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস বা শহীদ মিনারে আরেফিন সিদ্দিকের মরদেহ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে আরেফিন সিদ্দিকের শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। অবশ্য এ বিষয়ে আরেফিন সিদ্দিকের ছাত্র ও পরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তাঁর সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম শুক্রবার সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, আরেফিন স্যারের জানাজা ঢাবিতে হতে বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটির (কর্তৃপক্ষ) কোনো বাধা বা অসহযোগিতা নেই। স্যারের পরিবার সেলফ সেন্সরড হয়ে ঢাবিতে জানাজার আয়োজন করছে না। ঢাবি পাবলিক রিলেশনস প্রধান তা-ই জানালেন। এদিকে গ্রিন রোড এলাকায় বায়তুল আকসা মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানও এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমে তাঁর (অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক) দুটি জানাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তাঁর দাফনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
ক্ষোভ-শোক-প্রতিবাদে ফুঁসছে জনতা

ক্ষোভ-শোক-প্রতিবাদে ফুঁসছে জনতা