সুনামগঞ্জ , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি ডিজেলের দাম কমল লিটারে ২ টাকা, পেট্রল-অকটেনে ৩ টাকা দোয়ারায় বজ্রপাতে মারা গেলো তিন গরু রুট পাল্টে নৌপথে সক্রিয় চোরাকারবারিরা প্রশাসনের জব্দকৃত বালুভর্তি বাল্কহেড উধাও! তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় হাওরে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দাবি নারীনেত্রী দিপালী চক্রবর্তী’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ভারী বর্ষণ ও ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বড় বন্যার আশঙ্কা নেই সাবেক প্রেমিকাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের পর আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার রঙ্গারচরে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণ জেলা প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ : সবুজের সন্ধানে নতুন যাত্রা দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান গণতন্ত্র পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া তাহিরপুরের ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই জনবল সংকট, চরম ভোগান্তিতে মানুষ সুনামগঞ্জসহ ৬ জেলায় বন্যার শঙ্কা

টাঙ্গুয়ার পাড়ে রোপিত গাছ মারা যাচ্ছে, কর্তব্য কী?

  • আপলোড সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০২:২২:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০২:২২:১০ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গুয়ার পাড়ে রোপিত গাছ মারা যাচ্ছে, কর্তব্য কী?
গত বুধবারের (১২ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, ‘টাঙ্গুগুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ’। অপূর্ব কথা এবং অবিশ্বাস্য। বন বিভাগের বৃক্ষ মারা পড়ছে অযত্নে-অবহেলায়। প্রতিবেদক জানাচ্ছেন, “টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন গোলাবাড়ি কান্দায় বন বিভাগ কর্তৃক ২৫ হেক্টর ভূমিতে লাগানো বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। ভুল সময়ে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে বৃক্ষ লাগানো এবং পরিচর্যার অভাবে অযতেœ বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা টাঙ্গুগুয়ার কান্দায় লাগানো বৃক্ষের পরিচর্যার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ বন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ভূমিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় হিজল-করচের ৪০ হাজার বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে।” গাছ লাগানোর পর যদি সেগুলো মারা যায় অর্থাৎ বাঁচানোর জন্যে কোনওরূপ যতœআত্তি করা না হয়, তবে গাছ লাগানোর দরকারটা বনায়নের স্থলে বনায়নের কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিয়ে অর্থাৎ গাছ লাগিয়ে বাড়তি টাকা উপার্জন করা এবং গাছ মরে গেলে আবার গাছ লাগিয়ে টাকা উপার্জনের পথ খোলা রাখায় পর্যবসিত হয়। টাঙ্গুয়ারপাড়ে বনায়ন সৃষ্টির কর্মসূচি আপাতত এমনবিধ স্বার্থকতাকেই পতিপন্ন করছে, যে স্বার্থকতার একটাই অর্থ : অযতœ অবহেলায় গাছগুলো মরবে এবং অফিসে বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আবার বনায়নের প্রকল্প সৃজনে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠবেন, সরকার বনায়নের জন্য টাকা দেবেন, রোপণ করা গাছগুলো মরে গিয়ে সে-টাকার শ্রাদ্ধ করবে। এই খেলা চলতেই থাকবে। এটা ‘বাঁধ ভাঙা, বাঁধ দেওয়া, বাঁধ ভাঙা’ খেলার মতো ‘গাছ রোপণ, গাছ মরা, গাছ রোপণ’ খেলা। সত্যি অপূর্ব এক খেলার মতো খেলা বটে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের অভিমত এই যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মতো এবংবিধ সরকারি টাকা অপচয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরি, অন্যথায় এই প্রতিষ্ঠানটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাই সবচেয়ে উত্তম, অন্তত সরকারি টাকা অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা যাওয়া যাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত