সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

টাঙ্গুয়ার পাড়ে রোপিত গাছ মারা যাচ্ছে, কর্তব্য কী?

  • আপলোড সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০২:২২:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০২:২২:১০ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গুয়ার পাড়ে রোপিত গাছ মারা যাচ্ছে, কর্তব্য কী?
গত বুধবারের (১২ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, ‘টাঙ্গুগুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ’। অপূর্ব কথা এবং অবিশ্বাস্য। বন বিভাগের বৃক্ষ মারা পড়ছে অযত্নে-অবহেলায়। প্রতিবেদক জানাচ্ছেন, “টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন গোলাবাড়ি কান্দায় বন বিভাগ কর্তৃক ২৫ হেক্টর ভূমিতে লাগানো বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। ভুল সময়ে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে বৃক্ষ লাগানো এবং পরিচর্যার অভাবে অযতেœ বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা টাঙ্গুগুয়ার কান্দায় লাগানো বৃক্ষের পরিচর্যার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ বন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ভূমিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় হিজল-করচের ৪০ হাজার বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে।” গাছ লাগানোর পর যদি সেগুলো মারা যায় অর্থাৎ বাঁচানোর জন্যে কোনওরূপ যতœআত্তি করা না হয়, তবে গাছ লাগানোর দরকারটা বনায়নের স্থলে বনায়নের কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিয়ে অর্থাৎ গাছ লাগিয়ে বাড়তি টাকা উপার্জন করা এবং গাছ মরে গেলে আবার গাছ লাগিয়ে টাকা উপার্জনের পথ খোলা রাখায় পর্যবসিত হয়। টাঙ্গুয়ারপাড়ে বনায়ন সৃষ্টির কর্মসূচি আপাতত এমনবিধ স্বার্থকতাকেই পতিপন্ন করছে, যে স্বার্থকতার একটাই অর্থ : অযতœ অবহেলায় গাছগুলো মরবে এবং অফিসে বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আবার বনায়নের প্রকল্প সৃজনে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠবেন, সরকার বনায়নের জন্য টাকা দেবেন, রোপণ করা গাছগুলো মরে গিয়ে সে-টাকার শ্রাদ্ধ করবে। এই খেলা চলতেই থাকবে। এটা ‘বাঁধ ভাঙা, বাঁধ দেওয়া, বাঁধ ভাঙা’ খেলার মতো ‘গাছ রোপণ, গাছ মরা, গাছ রোপণ’ খেলা। সত্যি অপূর্ব এক খেলার মতো খেলা বটে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের অভিমত এই যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মতো এবংবিধ সরকারি টাকা অপচয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরি, অন্যথায় এই প্রতিষ্ঠানটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাই সবচেয়ে উত্তম, অন্তত সরকারি টাকা অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা যাওয়া যাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স