সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ , ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অপহরণের ১৪ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে টিআরের বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে অক্টোবরে আসামি থেকে রাজসাক্ষী : সুবিধা-অসুবিধা জুয়া ও মাদকে সয়লাব শ্রীপুর বাজার জগন্নাথপুরে এমপি প্রার্থী এমএ কাহারের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশ গড়তে চাই : আরিফুল হক চৌধুরী নিত্য যানজটে ভোগান্তি শহরবাসীর জেলায় পাসের হার ৬৮.৪৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন বিএনপিতে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না : কামরুজ্জামান কামরুল শিক্ষক সংকটের মধ্যে আরো ৫ জন বদলি! ভোটের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ হাওরে মাছের আকাল, চাষের পাঙ্গাসই এখন ভরসা তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুই শিক্ষক! দিরাই আ.লীগের সম্পাদক প্রদীপ রায় কারাগারে ৬ দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি মৎস্য কার্যালয়ে পাওয়া গেল অফিস সহায়কের মরদেহ

টাঙ্গুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ

  • আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ
বিশেষ প্রতিনিধি :: টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন গোলাবাড়ি কান্দায় বনবিভাগ কর্তৃক ২৫ হেক্টর ভূমিতে লাগানো বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। ভুল সময়ে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে বৃক্ষ লাগানো এবং পরিচর্যার অভাবে অযতেœ বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা টাঙ্গুয়ার কান্দায় লাগানো বৃক্ষের পরিচর্যার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ভূমিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় হিজল-করচের ৪০ হাজার বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। বন বিভাগের রাজস্ব খাতের বরাদ্দ থেকে এই বৃক্ষ রোপণ করা হয়। উল্লেখ্য ২ বছর আগে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে একই হাওরের ইকইড়দাইড় কান্দায় বন বিভাগ জলবায়ু তহবিলের টাকায় বৃক্ষ লাগিয়েছিল। সেই বৃক্ষও মারা গেছে। এবারও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, হাওরের জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও বর্ষায় ঢেউয়ের আঘাত থেকে গ্রামগুলোকে রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বন বিভাগ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ি ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন কান্দায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে কান্দা সংলগ্ন শুকনো মাটিতে। এই স্থান বর্ষায় পানিতে ডুবে থাকে। বৃক্ষ রোপণের পর চারদিকে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। কাছে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর চারা মারা যাচ্ছে। তীব্র রোদের কারণে শুকিয়ে গেছে রোপণ করা চারা। রোপণের পর গাছের গোড়ায় পানি না দেওয়া ও পরিচর্যা না করায় মারা যাচ্ছে রোপণ করা বেশিরভাগ বৃক্ষ চারা। এতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। জয়পুর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, এখানে উঁচু জাগা। মাটি শুকাইয়া গেছেগা। লেছুমারা কান্দায় গাছ লাগাইলে ভেজা মাটি আছিল। গাছ আশি ভাগ বাঁচতো। ই গাছ অর্ধেকও বাঁচতো না। একই গ্রামের আলমগীর আলম বলেন, এখন গরমের সিজন। চারদিক টনটনা শুকনা। গাছের গুরিত পানি দিলে গাছ বাচতোনা। না অইলে মারা যাইবো। জয়পুর গ্রামের পরিবেশ কর্মী আহমদ কবীর বলেন, ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় কয়েক হাজার চারা লাগানো হয়েছে। এটা হাওরের জন্য ভালো। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে বৃক্ষ রোপণ করায় এবং রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা না করায় বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ বনবিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার সাদ উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ২৫ একর ভূমিতে আমরা রাজস্ব বাজেট থেকে অল্প বরাদ্দে ৪০ হাজার বৃক্ষ লাগাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। বৃক্ষ রোপণের মওসুম না হলেও মাটি ভেজা আছে। আমাদের একজন প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তবে স্থানীয়দের গরু-বাছুর বেষ্টনি দেওয়া এলাকায় ঢুকে গাছের চারা নষ্ট করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স