সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাওরের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া হবে : যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফ আ.লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপি’র সদস্য হতে বাধা নেই : রিজভী দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও’র পদত্যাগ দাবিতে লংমার্চ হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেল স্বামী চলতি মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ২৩টি মিটিং করেছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত গোলা ভরে ধান তুলে স্বস্তিতে কৃষক সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ভারত ও পাকিস্তান অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ ছিল মুবিন শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১দফা দাবিতে স্মারকলিপি নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের শুনানি ১৩ মে ঈদে টানা ১০ দিন ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি, বেসরকারি অফিসও বন্ধ দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, বিএনপি দেখাল শক্তি-সমর্থন জুবাইদার ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান জামালগঞ্জ-জয়নগর সড়ক এক যুগেও সংস্কার হয়নি : দুর্ভোগে লাখো মানুষ মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে প্রতিবেশী খুন এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু

টাঙ্গুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ

  • আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ
বিশেষ প্রতিনিধি :: টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন গোলাবাড়ি কান্দায় বনবিভাগ কর্তৃক ২৫ হেক্টর ভূমিতে লাগানো বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। ভুল সময়ে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে বৃক্ষ লাগানো এবং পরিচর্যার অভাবে অযতেœ বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা টাঙ্গুয়ার কান্দায় লাগানো বৃক্ষের পরিচর্যার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ভূমিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় হিজল-করচের ৪০ হাজার বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। বন বিভাগের রাজস্ব খাতের বরাদ্দ থেকে এই বৃক্ষ রোপণ করা হয়। উল্লেখ্য ২ বছর আগে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে একই হাওরের ইকইড়দাইড় কান্দায় বন বিভাগ জলবায়ু তহবিলের টাকায় বৃক্ষ লাগিয়েছিল। সেই বৃক্ষও মারা গেছে। এবারও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, হাওরের জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও বর্ষায় ঢেউয়ের আঘাত থেকে গ্রামগুলোকে রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বন বিভাগ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ি ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন কান্দায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে কান্দা সংলগ্ন শুকনো মাটিতে। এই স্থান বর্ষায় পানিতে ডুবে থাকে। বৃক্ষ রোপণের পর চারদিকে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। কাছে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর চারা মারা যাচ্ছে। তীব্র রোদের কারণে শুকিয়ে গেছে রোপণ করা চারা। রোপণের পর গাছের গোড়ায় পানি না দেওয়া ও পরিচর্যা না করায় মারা যাচ্ছে রোপণ করা বেশিরভাগ বৃক্ষ চারা। এতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। জয়পুর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, এখানে উঁচু জাগা। মাটি শুকাইয়া গেছেগা। লেছুমারা কান্দায় গাছ লাগাইলে ভেজা মাটি আছিল। গাছ আশি ভাগ বাঁচতো। ই গাছ অর্ধেকও বাঁচতো না। একই গ্রামের আলমগীর আলম বলেন, এখন গরমের সিজন। চারদিক টনটনা শুকনা। গাছের গুরিত পানি দিলে গাছ বাচতোনা। না অইলে মারা যাইবো। জয়পুর গ্রামের পরিবেশ কর্মী আহমদ কবীর বলেন, ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় কয়েক হাজার চারা লাগানো হয়েছে। এটা হাওরের জন্য ভালো। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে বৃক্ষ রোপণ করায় এবং রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা না করায় বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ বনবিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার সাদ উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ২৫ একর ভূমিতে আমরা রাজস্ব বাজেট থেকে অল্প বরাদ্দে ৪০ হাজার বৃক্ষ লাগাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। বৃক্ষ রোপণের মওসুম না হলেও মাটি ভেজা আছে। আমাদের একজন প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তবে স্থানীয়দের গরু-বাছুর বেষ্টনি দেওয়া এলাকায় ঢুকে গাছের চারা নষ্ট করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স